এক্সপ্লোর
Advertisement
বুধবার জমি ফেরত, সিঙ্গুরে চলছে শেষ লগ্নের প্রস্তুতি
সিঙ্গুর (হুগলি): পুজো আসতে এখনও সপ্তাহ তিনেক বাকি। কিন্তু, সিঙ্গুরজুড়ে এখন থেকেই উৎসবের আমেজ। দুর্গোৎসবের জন্য নয়। সিঙ্গুর উৎসবের জন্য। সেই উপলক্ষ্যেই সেজে উঠেছে জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর।
২০১১ সালে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে এসে প্রতিশ্রুতি পালন করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্ত যে তাঁর কাছে কতটা ঐতিহাসিক, তা আগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা।
সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ১২ সপ্তাহের মধ্যে সিঙ্গুরের জমি কৃষকদের ফিরিয়ে দিতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সেই প্রক্রিয়া শুরু করে দিচ্ছে দু’সপ্তাহেই। সর্বোচ্চ আদালতের ৩১ অগাস্টের নির্দেশের পর, ১৪ সেপ্টেম্বরই সিঙ্গুর উৎসব থেকে জমির নথি তুলে দেওয়া হবে কৃষকদের হাতে।
৯ হাজার ১১৭ জন কৃষককে পড়চা-সহ জমির ফেরতের সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র দেওয়া হবে। আটশোজন কৃষককে সুদ ছাড়া ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। এসব নিয়ে সোমবার নবান্নে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এতজনের হাতে চেক দেওয়ার প্রক্রিয়া। সময় লাগবেই। বিকেল গড়িয়ে রাত পর্যন্ত চলবে সেই প্রক্রিয়া। তার জন্য সিঙ্গুরে এখন সাজো সাজো রব। মঞ্চ বাঁধার কাজ শেষ পর্যায়ে।
ঘন ঘন সেই কাজ দেখতে আসছেন তৃণমূলের একের পর এক শীর্ষনেতা, মন্ত্রী। মঙ্গলবার দুপুরে প্রস্তুতিপর্ব খতিয়ে দেখতে সিঙ্গুরে আসেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী এবং তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। পরে সিঙ্গুরে যান শোভন চট্টোপাধ্যায়, মুকুল রায়রা।
এক দশক আগে পুজোর আগে এরকমই সময়ে জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন সিঙ্গুরের কৃষকরা। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বুধবার তাঁদের হাতে সেই জমির নথি তুলে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্য দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে তৈরি হয়েছে বিশাল মঞ্চ। দশ বছর আগে যেখানে ধর্নায় বসেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা।
চার হাজার বর্গফুটের এই মঞ্চে থাকছে ১৬টি সিসিটিভি ক্যামেরা। ৭০টি আলো। ১৩টি বক্স। সভাস্থলের আগে-পরে রাস্তার ধারে বসানো হয়েছে ৭টি বিদ্যুতের খুঁটি। ৩৫০টি মেটাল আলো এবং ৪০০টি চোঙ।
অন্যদিকে, সমানতালে চলছে জমি সাফাই ও জরিপের কাজ। প্রিজম মেশিনের মাধ্যমে মেপে এবং ফিতে ফেলে চলছে জমি জরিপের কাজ। লিখে রাখা হচ্ছে গ্রাউন্ড পয়েন্ট।
তবে এই জমির মধ্যে ৫৬ একরজুড়ে রয়েছে টাটাদের কারখানার শেড। রাজ্য সরকার এখনও এই জায়গায় হাত দেয়নি। তবে টাটাদের জন্য যে তারা অনন্তকাল অপেক্ষা করবে না, সেটা স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খবর
জেলার
বিনোদনের
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement