Swastha Sathi: স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে সমস্যা, 'কেন এই প্রকল্পে বরাদ্দ কমাচ্ছে সরকার'? প্রশ্ন হাইকোর্টের
ফের তৈরি হল জটিলতা। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে একাধিক প্রশ্ন করা হল রাজ্য সরকারকে।
কলকাতা: তৃণমূল সরকারের স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প নিয়ে ফের তৈরি হল জটিলতা। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে একাধিক প্রশ্ন করা হল রাজ্য সরকারকে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে মানুষকে কীভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে? অভিযোগ এলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? তা এদিন জানতে চাওয়া হয় হাইকোর্টের তরফে। রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে হাইকোর্ট জানতে চাইল, "রাজ্যের দাবি প্রতিবছর এই প্রকল্পে সুবিধাপ্রাপকের সংখ্যা বাড়ছে অথচ সরকার এই প্রকল্পে বরাদ্দ কমাচ্ছে, এটা কী করে সম্ভব?। এদিন এই প্রশ্ন করেন মামলাকারীর আইনজীবী।
মামলাকারীকেও হলফনামা দিয়ে জানাতে বলেছে হাইকোর্ট। এদিকে, আদালতে রাজ্য জানিয়েছে, "এখনও পর্যন্ত ২ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পেয়েছেন। কোনও হাসপাতাল সুবিধা দিতে না চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের সুবিধা না পেয়ে কতজন অভিযোগ করেছেন?" মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১৯ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন, ফের বাড়ছে ফোনের খরচ, প্রিপেডের চার্জ বৃদ্ধি করছে এয়ারটেল
এদিকে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে, কোনওভাবেই রোগীকে ফেরানো যাবে না। চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে হবে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি হাসপাতালকেই। সোমবার বেসরকারি হাসপাতালের উদ্দেশে, এমনই কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও, কিছু বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে রোগীকে ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সতর্ক করেছেন কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের টাকা ফুরিয়ে গেলেও, বিনামূল্যে চিকিৎসা মিলবে সরকারি হাসপাতালে। জানিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করাতে গেলে, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাধ্যতামূলক। গত ২৬ অক্টোবর এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকায় বলা হয়, সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করাতে গেলে স্বাস্থ্যসাথী, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্প, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্প কিংবা ESI কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।