21 July Shahid Diwas: '২০২৪-এ কী হবে জানি না, তবে এখন থেকে প্ল্যান করতে হবে', শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে বার্তা মমতার
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে চব্বিশের নির্বাচনের বার্তা তৃণমূলনেত্রীর
কলকাতা: একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে চব্বিশের নির্বাচনের বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, নির্বাচনের সময়ে জোট করে লাভ নেই। এখন থেকেই তৈরি হতে হবে।
বঙ্গ বিধানসভায় হ্যাটট্রিকের পর দিল্লি চলোর ডাক দিলেন তৃণমূলনেত্রী। আর সেই ডাক দেওয়ার জন্য একুশে জুলাইয়ের মঞ্চকেই বেছে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর আগে, রাজ্যে তৃতীয়বার ক্ষমতা ধরে রাখার পর তৃণমূলনেত্রী ঘোষণা করেছিলেন, একুশে জুলাইয়ের শহিদ দিবস ও নির্বাচন জয়ের বিজয়োৎসব একসঙ্গে হবে।
কিন্তু, করোনাকালে, গত বছরের মতো এবারও, ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য পেশ করেন তৃণমূলনেত্রী। তাঁর বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচার করা হয় দেশের দিল্লি, গুজরাত সহ ৬টি রাজ্যে।
দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনতে উপস্থিত হলেন বিজেপি বিরোধী নেতা-নেত্রীরা। এদিন তৃণমূলনেত্রীর ভাষণ সম্প্রচারের মঞ্চে ধরা পড়ল বিরোধী ঐক্য।
উপস্থিত ছিলেন, শরদ পওয়ার থেকে শুরু করে সুপ্রিয়া সুলে, পি চিদম্বরম, জয়া বচ্চন, রামগোপাল যাদব, দিগ্বিজয় সিংহ, কেশব রাও, ডিএমকের তিরুচি শিবা, আপের সঞ্জয় সিংহ, আরজেডি-র মনোজ ঝা, শিবসেনার প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী, অকালি দলের সর্দার বলবিন্দর সিংহ বন্ডার সহ বিশিষ্ট অবিজেপি দলের নেতানেত্রীরা।
এখানেই, আগামী লোকসভা নির্বাচনের ডঙ্কা বাজিয়ে দিলেন। বললেন, 'বিজেপির ওপর নির্বাচন কমিশনের আশীর্বাদ ছিল। গণতন্ত্র ভয়ঙ্কর জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে। ২০২৪-এ কী হবে জানি না, তবে এখন থেকে প্ল্যান করতে হবে।'
তৃণমূলনেত্রীর মতে, নির্বাচনের সময়ে জোট করে লাভ নেই। এখন থেকেই তৈরি হতে হবে। তজোটবদ্ধ হয়ে দেশকে পথ দেখাতে হবে। একসঙ্গে আগে এগোতে হবে। বিজেপি বিরোধীদের উদ্দেশে তিনি বললেন, কর্মীর মতো আপনাদের পাশে থাকব। আপনারা যা আদেশ দেবেন, সেই মতো কাজ করব।
এদিন তৃণমূলনেত্রীর বক্তব্যের বড় অংশ ছিল একাধিক কেন্দ্রীয় নীতি ও বিজেপি-শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা। বললেন, ‘ওরা নৃশংস, শান্তিতে কাউকে বাঁচতে দেবে না।’
বিরোধীদের বা বলা ভাল-- অবিজেপি দলগুলির উদ্দেশে একজোট হওয়ার আহ্বাবন জানান তৃণমূলনেত্রী। মমতা বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। আমাদের মূল উদ্দেশ্য দেশকে বাঁচানো, জনতাকে বাঁচানো, রাজ্যগুলো বাঁচানো।
তৃণমূলনেত্রী বলেন, সমস্ত লিডারদের বলব। দলকে বলুন, একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এখন থেকেই তার প্ল্যানিং করতে হবে। রোগী মরে যাওয়ার পরে ডাক্তার ডেকে লাভ নেই। রোগ ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রিটমেন্ট চালু করতে হবে।
মমতা আরও বলেন, আগামী সপ্তাহে আমিও ২-৩ দিনের জন্য দিল্লি যাব। ২ বছর যেতে পারিনি। আমি বিরোধী নেতাদের সঙ্গে দেখা করব। পওয়ার আছেন, চিদাম্বরম আছেন। যদি বৈঠক ডাকেন, তাহলে যোগ দান করতে পারি। ২৬-২৭ থাকব। ওই সময় বৈঠক করলে আমরা থাকতে পারব।