Mamata on BJP: 'বিজেপি করা যায় না, শোষণ অনেক বেশি' তৃণমূল ভবনের বৈঠকে মন্তব্য মমতার
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'ওরা নির্দয়, কোনও মানুষকে মনুষ্যত্ত নিয়ে বাঁচতে দেয় না, মুকুলের চলে আসাটা তারই প্রমাণ।'
কলকাতা: 'বিজেপি করা যায় না। বিজেপিতে যাঁরা আছে তাঁদের শোষণ অনেক বেশি।' শুক্রবার মুকুল রায়কে পাশে নিয়ে এভাবে বিজেপিকে আক্রমণের সুর চড়ালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। প্রায় চার বছর পর শুক্রবার তৃণমূলে ফিরলেন সপুত্র মুকুল রায়। আর তাতেই তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি।
আজ তৃণমূল ভবনের সাংবাদি বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ বৈঠক হয়। তার আগেই মুকুল, তাঁর পুত্র শুভ্রাংশুকে নিয়ে পৌঁছে যান তৃণমূল ভবনে। একে একে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের অন্যান্যরা।
শুক্রবারের সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির বিরোধিতায় একের পর এক মন্তব্য ছুড়ে দেন মমতা। বলেন, 'ওকে (মুকুল রায়) চমকে ধমকে, এজেন্সি দেখিয়ে ওর ওপর অনেক অত্যাচার করেছিল বিজেপি। বিজেপিতে থেকে মুকুলের শরীরটাও খারাপ হচ্ছিল দেখছিলাম। এখানে এসে ও-ও শান্তি পেল। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'ওরা নির্দয়, কোনও মানুষকে মনুষ্যত্ত নিয়ে বাঁচতে দেয় না, মুকুলের চলে আসাটা তারই প্রমাণ।'
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আবহে তৃণমূল-বিজেপি দু-পক্ষই একে অপরের বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছে। চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণে কার্যত সরগরম ছিল প্রচার ময়দান। সে সময়ে তৃণমূলত্যাগী শুভেন্দু অধিকারী-রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের সুর ঝাঁঝালো হলেও, বিধানসভা ভোটের প্রচারে মুকুল রায়কে কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতে দেখা যায়নি। শুক্রবার যে কথা উল্লেখ করতেও ভোলেননি তৃণমূলনেত্রী।
ঊনিশ বছর তৃণমূল করার পর বিজেপিতে গেছিলেন মুকুল রায়। কিন্তু, চার বছর যেতে না যেতেই, সেই দল ছেড়ে আবার ফিরলেন তৃণমূলে। ২০১৭ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটেই এরাজ্যে বিজেপির সাংসদ সংখ্যা ২ থেকে এক লাফে বেড়ে হয় ১৮।
মুকুল শিবিরের দাবি, এই বিপুল সাফল্যের নেপথ্যে মুকুল রায়ের যথেষ্ট অবদান ছিল। তৃণমূলে থাকাকালীনও মুকুল রায় মূলত ওয়ার রুম থেকে, ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকতেন। যে কারণে তাঁর নামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল চাণক্য বিশেষণটি। কিন্তু, বিধানসভা ভোটে, বিজেপি তাঁকে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রের প্রার্থী করে, ভোটের ময়দানে নামিয়ে দেয়। যা নিয়ে সে সময়ে মুখ খুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।