(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
সেনা মোতায়েন: ৩০-ঘণ্টা পর নবান্ন ছাড়লেন মমতা, দিলেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি
কলকাতা: নবান্ন থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বৃহস্পতিবার রাত দশটা নাগাদ। শেষপর্যন্ত শুক্রবার সন্ধেয় নবান্ন ছাড়লেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার বেলা বারোটা থেকে শুক্রবার সন্ধে সাড়ে ছ’টা। প্রায় সাড়ে তিরিশ ঘণ্টা নবান্নে কাটালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাওয়ার আগে জাতীয় সড়কে সেনা মোতায়েনের জন্য কেন্দ্রকে কড়া হুঁশিয়ারিও দিয়ে গেলেন। বললেন, সেনা না সরলে আইনি ব্যবস্থা নেব। নাম না করে আক্রমণ করলেন মোদী সরকারকে। বলেন, এমন দাম্ভিকতা আগে দেখিনি। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ক্যাবিনেট সচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যসচিব। রাজ্যকে না জানিয়ে জাতীয় সড়কে সেনা নামানোর অভিযোগের কথা জানিয়ে। শুক্রবার বিকেলে মন্ত্রীরা রাজভবন থেকে ফেরার পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক থেকে বেরিয়েই ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন পার্থ। শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, নোটকাণ্ডে (তৃণমূল) সরব হওয়ায় এই পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র। এর আগে দুপুর আড়াইটে থেকে তিনটে পর্যন্ত পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে এবং তারপর তিনটে থেকে প্রায় সাড়ে চারটে পর্যন্ত রাজ্য পুলিশের ডিজি-র সঙ্গেও বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাতভরও নবান্নের ছবিটা ছিল একইরকম। মুখ্যমন্ত্রীর তৎপরতা দেখে বোঝার উপায় ছিল না সময়টা দিন না রাত। রাত সাড়ে দশটার সাংবাদিক বৈঠকেই মমতা জানিয়ে দেন, সেনা না সরলে তিনিও যাবেন না। এরপরই নবান্নর চোদ্দতলায় উঠে রাজ্য পুলিশের ডিজি-র সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর তিনি দফায় দফায় বৈঠক করেন মুখ্যসবিচ ও স্বরাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে। রাত পৌনে দুটো নাগাদ নবান্ন ছেড়ে বেরিয়ে যান রাজ্য পুলিশের ডিজি। রাত ২টো নাগাদ ফের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে নবান্নর নীচে নামেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় চল্লিশ কথা বলে, ফের উঠে যান ওপরে। নবান্ন সূত্রে খবর, রাত পৌনে তিনটে নাগাদ দিল্লিতে সাংসদদের ফোন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, সংসদে এই ইস্যু নিয়ে সরব হতে। রাত তিনটে নাগাদ নবান্নে আসেন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেই আবার বেরিয়ে যান। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য নবান্ন ছাড়লেন শুক্রবার সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ। যা দেখে অনেকে বলেছেন, টোল প্লাজায় সেনা। আর যুদ্ধকালীন তৎপরতা নবান্নে।