ফলতায় ছাত্রী, জলপাইগুড়িতে প্রতিবেশী তরুণীকে ‘ধর্ষণ’ দুই শিক্ষকের

ফলতা ও জলপাইগুড়ি: প্রথমে ধর্ষণের অভিযোগ। এরপর মুখ বন্ধ রাখতে নির্যাতিতাকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে মিটমাটের প্রস্তাব! ৩ দিন পরেও অধরা জলপাইগুড়ির চড়কডাঙ্গির অভিযুক্ত স্কুলশিক্ষক। অন্যদিকে, স্কুলের মধ্যেই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতার এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যে শিক্ষক জীবন গড়েন, তাঁর বিরুদ্ধেই জীবন তছনছ করে দেওয়ার অভিযোগ। ফলতায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হলেন এক শিক্ষক। অভিযোগকারী ছাত্রীর দাবি, মঙ্গলবার স্কুলের শিক্ষক দিলীপ মণ্ডল তাকে অফিস ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। কাউকে বললে ছাত্রীকে ফের ধর্ষণের হুমকিও দেন ওই শিক্ষক। ভয়ে ওই ছাত্রী প্রথমে বাড়িতে কিছু জানায়নি। সে ঘটনার কথা বলে শুধু এক সহপাঠীকে। পরে সেই সহপাঠীই নির্যাতিতার বাড়িতে বিষয়টি জানায়। এরপরই ফলতা থানায় অভিযোগ দায়ের করে ছাত্রীর পরিবার। তার ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। জলপাইগুড়িতে আবার প্রতিবেশী তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। জলপাইগুড়ির চড়কডাঙ্গি গ্রামের বছর বাইশের এই তরুণীর দাবি, সোমবার বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে গৌতম রায় নামে ওই প্রতিবেশী স্কুলশিক্ষক। মুখ বন্ধ রাখতে বাড়ির লোককে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বিষয়টি মিটমাটেরও প্রস্তাব দেন বলে অভিযোগ। জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক। জলপাইগুড়ি আদালতে তরুণীর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।