সিংমারিতে অশান্তি-মৃত্যু, মূল অভিযুক্ত হিসেবে সস্ত্রীক বিমল গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে এফআইআর
দার্জিলিং:একদিকে জিটিএ ছাড়ার সিদ্ধান্ত, অন্যদিকে রাজ্যের সঙ্গে বৈঠকে ‘না’। মোর্চা যখন এই জোড়া কৌশলে রাজ্যের ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে, তখন পাল্টা চাপ দিল রাজ্যও। শনিবার সিংমারিতে অশান্তির ঘটনায় সরাসরি বিমল গুরুঙ্গ ও তাঁর স্ত্রী আশা গুরুঙ্গয়ের বিরুদ্ধে খুন ও ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু করল পুলিশ। এই ঘটনায় এফআইআরে প্রধান অভিযুক্ত হিসেবেও দেখানো হয়েছে গুরুঙ্গ দম্পতিকে।
শনিবারের অশান্তিতে দার্জিলিং সদর থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায় পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআরটি করেন। সেখানে বলা হয়েছে, সকাল ৯.৩৫-এ গোপন সূত্রে খবর আসে, পাতলেবাসে বিমল গুরুঙ্গ, আশা গুরুঙ্গদের নেতৃত্বে ৫-৬ হাজার মোর্চা সমর্থক জড়ো হয়েছে পুলিশকে আক্রমণের পরিকল্পনা নিয়ে।
পুলিশ সিংমারি পৌঁছলে পাতলেবাসের দিক থেকে মোর্চা সমর্থকরা বিনা প্ররোচনায় তাদের লক্ষ্য করে পাথর, তির, পেট্রোল বোমা ছুড়তে শুরু করে। সঙ্গে দেশি আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলিও চালায় তারা।
কাঁদানে গ্যাসের সেল ছুড়েও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী ও সাধারণ মানুষ গুলিবিদ্ধ হন। এই ঘটনায় কুকরি, হাঁসুয়া,তির, কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।
মোর্চা যখন তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবি তুলছে, তখন নতুন করে গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে সরকার বুঝিয়ে দিল, পাহাড় ইস্যুতে তারা কোনও সমঝোতায় রাজি নয়।
পাল্টা সুর চড়িয়েছে মোর্চা।গুরুঙ্গের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে ক্ষুব্ধ মোর্চার শরিক বিজেপি-ও। এই ইস্যুতে অবশ্য রাজ্যের বাকি বিরোধী দলগুলিরও এক সুর। পয়লা জুলাই বাম ও কংগ্রেসের পরিষদীয় দল পাহাড়ে যাচ্ছে।