প্রতি বর্ষাতেই জলে ডুবে যায় হাওড়ার আমতা-উদয়নারায়ণপুর, কবে দূর হবে দুর্ভোগ!
সমস্যা ঘিরে চলছে রাজনৈতিক তরজাও, এলাকাবাসীরা অবশ্য খুঁজছেন স্থায়ী সমাধান।
সুনীত হালদার, হাওড়া : প্রতিবছরই এক ছবি। বর্ষা এলেই জল থৈ থৈ হয়ে পড়ে হাওড়ার আমতা-উদয়নারায়ণপুর। এবার তাই, বর্ষা আসার আগেই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা। ঘটনায় নাম না করে, প্রাক্তন সেচমন্ত্রী তথা বর্তমানে বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই আঙুল তুলেছে তৃণমূল।
বর্ষা আসে বর্ষা যায়। কিন্তু, কাটে না দুর্ভোগ। প্রতিবছরই বর্ষায় জলে ডুবে যায় হাওড়ার আমতা ও উদয়নারায়ণপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসি থেকে জল ছাড়লেই প্লাবিত হয় এলাকা। বাঁধে ফাটল ধরে। হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করে উদয়নারায়ণপুরের টোকাপুর, শিবানিপুর, মনসুকা, কানুপাট, হরালি খিলা সহ একাধিক জায়গায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, বালির বস্তা দিয়ে তখনকার মতো বাঁধ মেরামতির চেষ্টা হয়। কিন্তু তাতে জল-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পওয়া যায় না। জলে ডুবে যায় রাস্তা। জল জমে যায় চাষের জমিতে। ভেসে যায় মাছের ভেড়ি। এবারও বর্ষার আগে সিঁদূরে মেঘ দেখছেন এই এলাকার বাসিন্দারা। কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে যায় একাধিক জায়গায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন আগে থেকে ব্যবস্থা নেয় না বলেই ফি বছর একই দুর্ভোগের ছবি।
সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক। সেই সঙ্গে এই এলাকার দুর্ভোগের জন্য তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই আঙুল তুলেছেন। উল্লেখ্য, ২০১২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত রাজ্যের সেচমন্ত্রী ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। উদয়নারায়ণপুর তৃণমূল বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেছেন, '২০১২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বন্যা প্রতিরোধে এলাকায় কোটি কোটি টাকা খরচা করে নদীবাঁধ মেরামতির কাজ হয়েছে। কিন্তু তাতে বন্যা রোখা যায় নি। কার্যত টাকা জলে গেছে। তিনি আরো বলেন গত বছর থেকে মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী নিম্ন দামোদরের বাধ নির্মাণের কাজ চলছে। অতিমারির কারণে কাজ ধীরগতিতে চলছে। এই কাজ শেষ হলে বন্যা প্রতিরোধ সম্ভব বলে তিনি মন্তব্য করেন।' পাল্টা হাওড়া গ্রামীণের বিজেপি সভাপতি প্রত্যুষ মণ্ডলের খোঁচা, 'তখন কেন চুপ ছিল? এখন কেন বলছে?'
রাজনৈতিক দোষারোপ, তরজা নিয়ে ভাবতে চান না এই এলাকার বাসন্দারা। তাঁদের একটাই দাবি, জল যন্ত্রণার একটা পাকাপাকি সমাধান হোক।