WB Corona Update: মাস্ক পরছেন না রাজ্যের ৪৯ শতাংশই ! রাজ্য সরকারের সমীক্ষা সামনে আসতেই কড়াকড়ির ভাবনা
রাজ্যের সব জেলা মিলিয়ে ৬৫০ অঞ্চলে চালানো হয়েছে যে সমীক্ষা।
সুমন ঘড়াই, কলকাতা : করোনাকালে রাজ্যবাসীকে নিয়ে করা রাজ্যের রিপোর্টের ফল নিয়ে চিন্তার ভাঁজ রাজ্য প্রশাসনে। সূত্রের খবর, মাস্ক পরা নিয়ে রাজ্য সরকারের সমীক্ষা চালিয়েছিল। সব জেলা মিলে ৬৫০টি অঞ্চলে চালানো সমীক্ষায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে, সমীক্ষা বলছে, করোনা কমাতে বিধিনিষেধের কড়াকড়ির মাঝেও ঠিকমতো মাস্ক পরছেন না প্রায় ৪৯ শতাংশ রাজ্যবাসী। আর যে তথ্য পাওয়ার পরই মাস্ক পরা নিয়ে আরও কড়াকড়ির ভাবনা নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যব্যাপী সমীক্ষা জানাচ্ছে, মাত্র ৫১.৬২ শতাংশ রাজ্যবাসী মাস্ক পরছেন। যার অর্থ ৪৮.৩৮ শতাংশ বা প্রায় ৪৯ শতাংশ রাজ্যবাসীরই মাস্ক ব্যবহারে অনীহা ধরা পড়েছে। যদিও এখানেই শেষ নয়! সমীক্ষায় আরও উঠে এসেছে যে ৫১ শতাংশের কিছু বেশি সংখ্যক রাজ্যবাসী মাস্ক পড়ছেন, তাদের মধ্যে ৩৫ শতাংশই ঠিকঠাকভাবে মাস্ক পরছেন না। পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, শতকরাটা ৩৫.৩৩ শতাংশ। অর্থাৎ, মাস্ক ঠিকমতো পরছেন মাস্ক ব্যবহারকারীদের ৬৮.৪৪ শতাংশ। আর যে তথ্য পেয়েই নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। হাওড়া (১৫২) ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার (১০৭) একশোর বেশি জায়গা পরিসংখ্যানের জন্য ধরা হলেও দক্ষিণ ২৪ পরগণা, উত্তর ২৪ পরগণা থেকে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, কিংবা দুই দিনাজপুর বা দার্জিলিং, রাজ্যের ২৩ জেলাজুড়েই বেছে নেওয়া মোট ৬৫০টি জায়গায় মাস্ক ব্যবহারের হার বুঝতে সমীক্ষাটি চালানো হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে।
এমনিতেই গত কয়েকদিন কমার পর রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুধবারের প্রকাশিত করোনা বুলেটিনে খোঁজ মিলেছে, রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ কিছুটা উর্ধ্বমুখী। এমনিতেই কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলানো গেলেও রাজ্যজুড়ে চালানো হচ্ছে তৃতীয় ঢেউ সামলানোর প্রস্তুতি। আর সর্বোপরি এখনও পর্যন্ত রাজ্যে সরকারিভাবে জারি রয়েছে বিধিনিষেধ। তবে রাজ্যবাসীর মধ্যে যে করোনার অবশ্য পালনীয় নিয়ম মানার ক্ষেত্রে অনীহা দেখা দিচ্ছে, সেটার টের পেয়ে নাইট কার্ফু কড়াকড়ির বার্তা আগেই পুলিশ প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফে। এবার মাস্ক পরায় অনীহার এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসার পর আরও কড়াভাবে পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনতে ও মাস্ক-হীনদের রুখতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে।