Bengal Violence: তুফানগঞ্জে উদ্ধার তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত দেহ, প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ
বিজেপির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ শাসক দলের
কোচবিহার: ফের অশান্ত তুফানগঞ্জ। এবার চিলাখানায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম শাহিনুর রহমান।
বিজেপির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তৃণমূলের। প্রতিবাদে সকালে বেশ কিছুক্ষণ ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মীরা।
তৃণমূলের দাবি, গতকাল রাতে ওই কর্মীর হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই তৃণমূল কর্মীর।
এরপর বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর, বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পাল্টা হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে দায়ী করে উল্টে তাদের কর্মীরাই আক্রান্ত বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি।
পাশাপাশি, কাটোয়ার করোজ গ্রামে তিন তৃণমূল কর্মীকে ধারাল অস্ত্রের কোপ। হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগ, গতকাল রাতে বাড়ি ফেরার সময় তাদের তিন কর্মীর উপর হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
ধারাল অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হন দুই তৃণমূল কর্মী। তাঁদের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দাবি, ওই এলাকায় তাদের কোনও সংগঠনই নেই।
আবার, আলিপুরদুয়ার শহর লাগোয়া মথুরা এলাকায় তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। খুনে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ।
জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, গতকাল রাত ১টা নাগাদ গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বুথ সভাপতি দীপক রায়। অভিযোগ, মাঝরাস্তায় গাড়ি আটকে তাঁকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
গুরুতর জখম তৃণমূল নেতাকে বাবুরহাট প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বিজেপির প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
এদিন তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর সব রাজনৈতিক দলকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিহিংসাপরায়ণ না হতে আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর। হিংসা ছড়ালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। বাংলা কঠিন সময়ের ভিতর দিয়ে যাচ্ছে।