(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Raju Sarkar Death:বিজেপি যুব মোর্চার নেতার মৃত্যুতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের
অসুস্থ হওয়ার পর প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় অ্যাপোলো হাসপাতাল।
কলকাতা: বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সহ সভাপতির মৃত্যুতে দায়ের হল অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা। গতকাল হেস্টিংসে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজু সরকার নামে ওই নেতা। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনার সময় হেস্টিংসে বিজেপির পার্টি অফিসে প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ ১০-১১ জন নেতা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ। কী ঘটেছে, সে সম্পর্কে তাঁরা যা জানিয়েছেন, সেই বয়ান রেকর্ড করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, খতিয়ে দেখা হয় পার্টি অফিসের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। তাতে দেখা যাচ্ছে, গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ পার্টি অফিস ছেড়ে বেরিয়ে যান রাজু। অসুস্থ হওয়ার পর প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় অ্যাপোলো হাসপাতাল। সেখানে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যেহেতু অ্যাপোলোয় আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে, তাই হাসপাতালের তরফে যোগাযোগ করা হয় হেস্টিংস থানার সঙ্গে। পুলিশ সূত্রে খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।
বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সহ সভাপতি রাজু সরকারের হঠাৎ মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। যুব মোর্চা নেতৃত্বের দাবি, সতীর্থদের সঙ্গে বচসার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজু সরকার। হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, অশান্তির ঘটনাই ঘটেনি। তৃণমূলের দাবি, পার্টি অফিসে কী ঘটেছিল, তা প্রকাশ্যে আনুক বিজেপি।
যুব মোর্চা নেতৃত্বের দাবি, সোমবার রাতে হেস্টিংসের কার্যালয়ে বৈঠক শেষ হওয়ার আগে বেরিয়ে যান যুব মোর্চার রাজ্য সহ সভাপতি রাজু সরকার।কিছুক্ষণ পরে ফিরে আসেন ফেলে যাওয়া ডায়েরি নিতে। তা নিয়েই সতীর্থরা রসিকতা জুড়ে দেন রাজুর সঙ্গে। যুব মোর্চার নেতৃত্বের দাবি, মজা করতে করতে বচসা বাধে। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে বসে পড়েন রাজু। তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে। সেখান থেকে অ্যাপোলোয় নিয়ে যাওয়া হলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।এই প্রেক্ষাপটে হেস্টিংসের পার্টি অফিসে ঠিক কী ঘটেছিল, তা প্রকাশ্যে আনার দাবি তুলেছে তৃণমূল।এদিকে, অসুস্থ যুব মোর্চা রাজ্য সহ সভাপতিকে এসএসকেএমে ভর্তি করানো গেল না কেন, এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গেরুয়া শিবির। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষের দাবি, কী ঘটেছে, সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।