Raiganj Folk Singer: তরণী-যন্ত্রে বেকারত্বের যন্ত্রণা
বাউল, সহজিয়া সুরের সঙ্গে তাঁর নিত্য ওঠাবসা। ইনি তরণীমোহন বিশ্বাস। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কাশীবাটির বাসিন্দা। ভোটের এখনও কয়েকদিন বাকি। কিন্তু তার আগে গান বেঁধেছেন তরণীমোহন।
সুদীপ চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর: ভোট নিয়ে গান বেঁধেছেন উত্তর দিনাজপুরের লোকশিল্পী তরণীমোহন বিশ্বাস। তারযন্ত্রের সুরে রয়েছে বেকারত্বের যন্ত্রণা। তাঁর গানের কথায় ঠাঁই পেয়েছে খেলা হবে থেকে টুম্পা সোনা সবই।
বাউল, সহজিয়া সুরের সঙ্গে তাঁর নিত্য ওঠাবসা। ইনি তরণীমোহন বিশ্বাস। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের কাশীবাটির বাসিন্দা। ভোটের এখনও কয়েকদিন বাকি। কিন্তু তার আগে গান বেঁধেছেন তরণীমোহন। তরণীর তারযন্ত্রে ফুটে উঠেছে বেকারত্বের যন্ত্রণা...‘আমরা খেলা চাই না খেলা চাই না আমরা চাকরি চাই ৷’
তরণী তাঁর গানে সময়কে ধরেন। তাই তাঁর গানে ঠাঁই পেয়েছে খেলা হবে থেকে টুম্পা সোনা। উত্তর দিনাজপুরের লোকশিল্পী তরণীমোহন বিশ্বাস জানান, ‘‘প্রতিবার নিজেই গান বাঁধি। ভোটের আগে শ্লোগানগুলি নিয়ে গান বেঁধেছি। যেসব ভাষায় কথা বলছেন রাজনীতিবিদরা সেটা কাম্য নয়।’’
পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটে শুরুতেও গান বেঁধেছিলেন তরণীমোহন। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।
ভোট আসলেই গান লেখার জন্য রাজনীতিবিদদের অনুরোধ আসে। তবে তাতে সাড়া দেননা তিনি। কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা ফেলতে পারেন না। তাই মানুষের আবদার অর্থ নয়, প্রাণের আরামেই ভোটযুদ্ধে গানের ভেলা একাই ভাসিয়ে চলেছেন তরণীমোহন। যে গান আজও রক্তে দোলা দিয়ে যায়। পারিবারিক সূত্রেই গানে হাতে খড়ি। বাউল গানের সরল অথচ গূঢ় তত্ত্বেই আজও গান লিখে চলেছেন। এবারও লিখছেন। তবে ভোটের সময় নির্বাচন উপযোগী গান এবারও লিখেছেন। সেই গানে এবারে ফুটে উঠেছে "খেলা হবে", "টুম্পা সোনা", "জয় শ্রীরাম" জাতীয় স্লোগান । তিনি আরও বলেন, ‘‘মন যা চায় তাই লিখি, গাই। এখন সার্বিক মানুষের সুখ-দুঃখ নিয়ে গান তৈরি করি। এই গান মানুষের ইতিহাস তৈরি করলে ভালো লাগবে।’’