Nadda BJP Manifesto: 'কাটমানি সংস্কৃতি, কয়লা পাচার, মাওবাদী তৎপরতা বন্ধ হবে', প্রতিশ্রুতি নাড্ডার
আমফানের টাকার অডিট করতে মমতার এত আপত্তি কেন?’ তোপ বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির
কলকাতা: ফের বঙ্গ সফরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। আজ উত্তর ২৪ পরগনায় একাধিক কর্মসূচি রয়েছে জে পি নাড্ডার। সকাল ১০টায় হেস্টিংসে বিজেপির অফিস থেকে লক্ষ্য সোনার বাংলা প্রচার পুস্তিকা উদ্বোধন করলেন বিজেপি সভাপতি।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন নাড্ডা। জানান, বিজেপির লক্ষ্য সোনার বাংলা গড়া। তিনি বলেছেন, ‘বাংলার গৌরবময় ইতিহাস পুনরুদ্ধারই লক্ষ্য বিজেপির। বাংলার মনীষীদের দর্শনে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে চাই।’
আসন্ন নির্বাচনকে যে প্রচণ্ড গুরুত্ব দিচ্ছে গেরুয়া শিবির, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন সেই বিষয়টিকে আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন নাড্ডা। বললেন, মানুষের পরামর্শ চাওয়া হবে। এর জন্য আগামী মার্চ মাসে বিশেষ অভিযান শুরু হবে বলে জানান তিনি।
বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, ‘রাজ্যের ২ কোটি মানুষের পরামর্শ নেবে বিজেপি। রাজ্যজুড়ে ৩০ হাজার সাজেশন বক্স থাকবে। ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে থাকবে সাজেশন বক্স। এমনকী, মিসড কল করেও দেওয়া যাবে পরামর্শ। ৩ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত চলবে ক্যাম্পেন।’
নাড্ডা ফের একবার জানিয়ে দেন, বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলায় চালু হবে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধিও বাংলায় চালু হবে, যাতে বাংলার ৭৩ লক্ষ কৃষক উপকৃত হবেন।’ তাঁর দাবি, ‘বাংলার কৃষকরা এককালীন ১৪ হাজার টাকা পাবেন। ক্ষমতায় এসেই ৭ম বেতন কমিশন চালু করা হবে। ’
ক্ষমতায় এলে বিজেপি কোন কোন বিষয়ে অগ্রাধিকার দেবে, তাও এদিন নাড্ডা স্পষ্ট করে দেন নাড্ডা। বলেন, ‘বাংলায় আর কাটমানি সংস্কৃতি থাকবে না। মাওবাদী তৎপরতা বন্ধ করাও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। কয়লা পাচার বন্ধ করা হবে।’
তৃণমূল জমানায় বাংলার গৌরব ধ্বংস হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে নাড্ডা বলেন, ‘বাংলার গৌরব ধ্বংস করার চেষ্টা হয়েছে। সেই হৃতগৌরব পুনরুদ্ধার করাই বিজেপির দায়িত্ব। বাংলা দেশকে আবার পথ দেখাবে।
এখানেই থামেননি নাড্ডা। বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘বাংলার মানুষের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। বাংলার চা বাগানের উন্নয়নে এক হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কাটমানি থেকে বাঁচিয়ে চা বাগানের উন্নয়ন করতে হবে।’
আমফান প্রসঙ্গেও রাজ্যকে আক্রমণ করেন নাড্ডা। বলেন, ‘আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রধানমন্ত্রী সাহায্য করেছেন। সেই টাকা ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছয় নিই। যে আনাজ পাঠানো হয়েছে, তা মিলেছে তৃণমূল কর্মীদের ঘরে। আমফানের টাকার অডিট করতে মমতার এত আপত্তি কেন?’