রাতভর ধরপাকড় পশ্চিম মেদিনীপুর জুড়ে, নাইট কার্ফু না মানায় আটক ২২
নাইট কার্ফু পালনে পাশাপাশি মেদিনীপুর শহরে নাকা চেকিং করে ধরপাকড় চালালো পুলিশ
অলোক সাঁতরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজ্য জুড়ে নাইট কার্ফু জারি রয়েছে। তবে অনেকেই বিধি-নিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর তাঁদের জন্যই কড়াকড়ি নিয়ম। বর্ধমানের পর এবার মেদিনীপুর। জেলাজুড়ে চলছে নাকাচেকিং। শনিবার রাতভর চলল ধরপাকড়। এদিন রাতে মেদিনীপুর বটতলা, কেরানিতলা, রাঙামাটি, কালেক্টরেট মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং চালায় মেদিনীপুর কোতয়ালী থানার পুলিশ। অকারণে রাস্তায় বেরনো এবং মাস্ক না পরার কারণে বেশ কয়েকটি গাড়িসহ আটক করা হয়েছে ২২ জনকে।
করোনা আবহে সচেতনতা প্রচারে বর্ধমানেও নাকাচেকিং শুরু হয়েছে। বর্ধমান শহরে ঢুকতে এবং শহর থেকে বেরতে পরতে হবে মাস্ক। সেখানেও এমনই কড়াকড়ি নিয়ম। ইতিমধ্যেই শহরের ২ জায়গায় নাকা চেকিং পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পড়ে শহরের বিভিন্নপ্রান্তে আরও নাকাচেকিং পয়েন্ট করা হবে বলে জানানো হয়েছে। করোনা বিধিনিষেধ নিয়ে বর্ধমান জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় চলছে পুলিশের নজরদারি ও মাইকিং। বিলি করা হচ্ছে মাস্ক। শুধু মেদিনীপুর বা বর্ধমান নয়, রাজ্যজুড়েই করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে দফায় দফার নজরদারি। তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় আগেভাগেই কোমর বাঁধছে প্রশাসন।
এদিকে রাজ্যে ফের বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণের গ্রাফ। শনিবারের বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬৯। এই সময় পর্বে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। একদিনে সুস্থতার সংখ্যাও কমেছে শুক্রবারের তুলনায়। রাজ্যে একদিনে করোনামুক্ত হয়েছেন ৮১৯ জন।
এদিনের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ১১৩। সুস্থতার হার ৯৮.০৯ শতাংশ। রাজ্যে পজিটিভিটি রেট ১.৮২ শতাংশ। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। জেলায় একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ জন। মৃত্যু ২ জনের। গতকাল, শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে মারণ ভাইরাসের কবলে পড়েন ৭১১ জন। ২৪ ঘণ্টাতে বাংলায় মৃত্যু সংখ্যা ছিল ৫। একদিনে রাজ্যে করোনামুক্ত হন ৮৩৫ জন।