India-China Relation : 'ভারত সীমান্তে চিনের একাধিক পদক্ষেপ প্ররোচনামূলক', মন্তব্য হোয়াইট হাউস আধিকারিকের
White House Official : আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ও ভারত-প্রশান্ত মহাসারগীয় অঞ্চলের মার্কিন কো-অর্ডিনেটর কার্ট ক্যাম্পবেল বলেন, ভারত আমেরিকার মিত্ররাষ্ট্র নয় এবং তা হবেও না
ওয়াশিংটন : 'ভারত-চিন সীমান্তে বেজিং (Beijing) এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যা প্ররোচনামূলক।' এক প্রশ্নের জবাবে এমনই মন্তব্য করলেন হোয়াইট হাউসের (White House) এক শীর্ষ আধিকারিক। 'মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কি ভারতের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে উন্মুখ ?' এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ও ভারত-প্রশান্ত মহাসারগীয় অঞ্চলের মার্কিন কো-অর্ডিনেটর কার্ট ক্যাম্পবেল বলেন, ভারত আমেরিকার মিত্ররাষ্ট্র নয় এবং তা হবেও না।
তবে তিনি এও বলেন, এর অর্থ এই নয় যে, আমরা ঘনিষ্ঠ সঙ্গী হব না বা বিভিন্ন জিনিস ভাগ করে নেব না। আমাদের বুঝতে হবে যে, বিশ্বমঞ্চে ভারত বিশাল রাষ্ট্র হিসাবে তাদের ভূমিকা পালন করবে। আমরা সেই বিষয়টাকেই উৎসাহ দিতে চাই। সম্পর্ক আরও গভীর করতে চাই। যা ইতিমধ্যেই মজবুত, সম্ভবত বিশ্ব মানচিত্রে আমেরিকার সবথেকে শক্তিশালী সঙ্গী।
নতুন আমেরিকার নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রায়ই ভারত-চিন সীমান্তে (India China Border) অনধিকারপ্রবেশ এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। যা সরাসরি দ্বন্দ্বের পরিবেশ তৈরি করেছে। ভারত-চীন সীমান্ত শত্রুতার বর্ধিত সম্ভাবনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কৌশলে প্রভাব ফেলেছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারতীয় কর্মকর্তারা বিশ্বাস করেন যে চিন পাকিস্তানের সঙ্গে তার পশ্চিম সীমান্ত এবং পূর্ব দিক উভয় অংশে আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে। চিনের এই উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর যে ইচ্ছা ভারতের রয়েছে সেই ক্ষমতাকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে বেজিং।
ক্যাম্পবেল আরও বলেছেন, "৫ হাজার মাইল জুড়ে বিশাল এই সীমান্তে চিন এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যা প্ররোচনামূলক এবং ভারতের সঙ্গী এবং বন্ধু রাষ্ট্রগুলির কাছে উদ্বেগজনক। " এই পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটন থিঙ্ক ট্যাঙ্কের লেখক লিজা কার্টিস ও ডেরেক গ্রসম্যান সীমান্তে চিন আগ্রাসনের (China Aggresion) মোকাবিলায় একাধিক সুপারিশ করেছেন। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমেরিকার উচিত ভারতকে উন্নত সামরিক প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করা । সীমান্ত সুরক্ষিত রাখা দরকার। যৌথভাবে সামরিক সামগ্রী তৈরি করা উচিত। তাছাড়া ভারতের নৌশক্তিকে আরও শক্তিশালী করতে আমেরিকার সাহায্য করা উচিত। "
ক্যাম্পবেল বলছেন, ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক একবিংশ শতকে আমেরিকার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।
আরও পড়ুন ; চিনকে রুখতে নজর সীমান্তে, তৈরি হচ্ছে রাস্তাও, ডোকলামের পরে কোথায় বদল?