Sukma Bijapur Naxal Attack: ছত্তীসগঢ়ে পৌঁছলেন অমিত শাহ, নিহত জওয়ানদের প্রতি জানাবেন শেষ শ্রদ্ধা
এর আগে রবিবার অসমে প্রচার কর্মসূচীকে কাটছাঁট করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে দিল্লিতে ফিরে আসেন অমিত শাহ। বিজাপুরে গুলির লড়াইয়ে ২২ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। অমিত শাহ বলেছেন, মাওবাদীদের সঙ্গে লড়াই চলবে এবং এই লড়াই চূড়ান্ত পরিণতি পাবে।
নয়াদিল্লি ও রায়পুর: ছত্তীসগঢ়ে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সকাল পৌনে ১১টা নাগাদ জগদালপুরে পৌঁছন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সুকমা-বিজাপুর সীমানায় মাওবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত ২২ জন জওয়ানকে জগদলপুরেই শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন অমিত শাহ। এরপর বিজাপুরে গিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। যাবেন বাসাগুড়ায় সিআরপিএফ ক্যাম্পে। রায়পুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত জওয়ানদের সঙ্গে দেখা করে আজই দিল্লি ফিরবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে রবিবার অসমে প্রচার কর্মসূচীকে কাটছাঁট করে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে দিল্লিতে ফিরে আসেন অমিত শাহ। বিজাপুরে গুলির লড়াইয়ে ২২ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। অমিত শাহ বলেছেন, মাওবাদীদের সঙ্গে লড়াই চলবে এবং এই লড়াই চূড়ান্ত পরিণতি পাবে।
অমিত শাহ বলেছেন, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে সমস্ত শক্তি, উদ্যম ও তীব্রতা দিয়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়া হবে এবং তা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে গোয়েন্দা সংস্থা ও কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন শাহ।
গত ৩ এপ্রিল মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে অমিত শাহ বলেছিলেন, আমি শহিদদের পরিবার ও দেশবাসীকে আশ্বাস দিচ্ছি যে, দেশের জন্য তাঁদের আত্মবলিদান বৃথা যাবে না।
উল্লেখ্য, ছত্তীসগঢ়ের সুকমা-বিজাপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালায় মাওবাদী। দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় গুলির লড়াই। এই গুলির লড়াইয়ে ২২ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৩১ জন। প্রায় ৩০০ মাওবাদীদের একটি দল অতর্কিতে এই হামলা চালায়।
এই গুলির লড়াইয়ে যে জওয়ানরা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাঁরা হলেন- ডিস্ট্রিক রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি)-র সাব-ইন্সপেক্টর দীপক ভরদ্বাজ,হেড কনস্টেবল রমেশ কুমার জুরি, হেড কনস্টেবল নারায়ণ সোধি, কনস্টেবল রমেশ কোরসা, কনস্টেবল সুভাষ নায়েক, অ্যাসিস্ট্যান্ট কনস্টেবল কিশোর আনদ্রিক, অ্যাসিস্ট্যান্ট কনস্টেবল সানকুরাম সোধি, অ্যাসিস্ট্যান্ট কনস্টেবল ভোসারাম কারতামি।
স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর হেড কনস্টেবল শ্রাবন কাশ্যপ, কনস্টেবল রামদাস কোরাম, কনস্টেবল জগৎরাম কানওয়ার, কনস্টেবল সুখসিংহ ফারাস, কনস্টেবল রামশঙ্কর পাইকরা, কনস্টেবল শঙ্করনাথ।
কোবরা (২১০ ব্যাটেলিয়ন)-এর ইন্সপেক্টর দিলীপ কুমার দাস, হেড কনস্টেবল রাজ কুমার যাদব, কনস্টেবল শম্ভুরাই, কনস্টেবল ধরমদেব কুমার, কনস্টেবল এসএম কৃষ্ণ, কনস্টেবল আর জগদেশ, কনস্টেবল বাবলু রাভা
এবং বস্তারিয়া ব্যাটেলিয়নের কনস্টেবল সামাইয়া মারাভি।
ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল বলেছেন, জওয়ানদের মনোবল অটুট রয়েছে এবং মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।