Nepal News: ভারতের সঙ্গে ২ জনেরই অত্যন্ত সুসম্পর্ক, নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের 'মুখ' হিসাবে কার নামে শেষমেশ পড়বে সিলমোহর ?
Nepal Gen Z Protest: অশান্ত হিমালয়ের দেশ। যুবসমাজের 'গণঅভ্যুত্থানে' ধসে পড়েছে নেপালের সরকার। কিন্তু ভাঙছে যেমন, গড়বে কবে ? এ 'বিপ্লবের' ভবিষ্যত কী ?

কাঠমাণ্ডু : Gen-z এর বিক্ষোভের জেরে গদি ছেড়েছে কেপি ওলির সরকার। কিন্তু এর ভবিষ্যত কী ? আগামী দিনে কার হাত ধরে নেপালে পরবর্তী নির্বাচন হতে পারে ? এক্ষেত্রে দুটো নাম উঠে আসছে আপাতত। একজন হলেন নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। যিনি কিনা বেণারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। অন্যজন হলেন নেপালের বিদ্যুৎ বোর্ডের প্রাক্তন CEO কুল মান ঘিসিং। জামশেদপুরের রিজিওনাল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক তিনি। নেপালে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দূর করার ক্ষেত্রে যার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে নেপালের একটা বড় অংশ। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য 'মুখ' যাঁরা, এই দুই প্রার্থীর সঙ্গেই ভারতের অত্যন্ত সুসম্পর্ক।
অশান্ত হিমালয়ের দেশ। যুবসমাজের 'গণঅভ্যুত্থানে' ধসে পড়েছে নেপালের সরকার। কিন্তু ভাঙছে যেমন, গড়বে কবে ? এ 'বিপ্লবের' ভবিষ্যত কী ? কে ধরবে দেশের হাল ? কার হাত ধরে নেপালে পরবর্তী নির্বাচন হতে পারে ? এক্ষেত্রে সবার প্রথমে নাম উঠে আসছে নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির। যিনি বেণারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। ভারতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গভীর। সূত্রের খবর, জেন জির প্রথম পছন্দ সুশীলা কার্কির নামে সমর্থন রয়েছে কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহেরও। সেনাবাহিনী তাঁর নামে শেষ অবধি সিলমোহর দেয় কি না, সেদিকেও সবার নজর রয়েছে।
এই নিয়ে এখন জোর আলাপ-আলোচনা চলছে। বিচারপতি হিসাবে দুর্নীতি বিরোধী কড়া ভাবমূর্তির জন্য়ই দেশজুড়ে সুখ্য়াতি সুশীলা কার্কির। এরইমধ্য়ে নেপালের সম্ভাব্য অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উঠে আসছে আরেকটি নামও। নেপালের বিদ্যুৎ বোর্ডের প্রাক্তন CEO কুল মান ঘিসিং। সুশীলা কার্কির মতোই কুল মান ঘিসিংয়ের সঙ্গেও ভারতের গভীর সম্পর্ক। জামশেদপুরের রিজিওনাল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক তিনি। ১৯৯৪ সালে, নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথোরটিতে কর্মজীবন শুরু করেন কুল মান ঘিসিং। ধীরে ধীরে পদোন্নতি ও পরবর্তীতে, নেপালের মুখে মুখে ঘোরে তাঁর নাম। নেপালে ভয়ঙ্কর লোডশেডিং সমস্য়া ঘোঁচানোর সুবাদেই গোটা তিনি জনপ্রিয়। কিন্তু ২০২৫ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র চার মাস আগে, 'ম্যানেজিং ডিরেক্টর' পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেয় কেপি ওলি সরকার। যা নিয়ে দেশের নানা জায়গায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ তৈরি হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার আশিস দত্ত (অবসরপ্রাপ্ত) বলেন, "এই দ্বন্দ্ব আরও ৬-৭ দিন চলবে। তার কম নয়। দ্বন্দ্বটা যখন শেষ হবে তখন নিজেদের মধ্যে মতানৈক্য হবে, রাজতন্ত্রের ফিরে আসার একটা প্রচেষ্টা চলছে, চলবে। যেহেতু নেপালের সেনাপ্রধান তাঁর ঝোঁক দেখিয়ে দিয়েছেন, সুতরাং সেদিকেও সম্ভাবনা আছে।"
এখন প্রশ্ন হল, শেষ অবধি কী হবে ? অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হবে না কি অন্য় কোনও বিকল্প রয়েছ ?























