Syria church attack : চলছিল প্রার্থনা, গির্জায় ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি, লুটিয়ে পড়লেন শিশু থেকে বৃদ্ধ
Syria Islamic State attack: সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস শহরের একটি গির্জায় আত্মঘাতী হামলায় নিহতর সংখ্যা কমপক্ষে ১৫। তবে এখনও পর্যন্ত প্রাণহানির সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।

ভয়ঙ্কর ! চলছিল রবিবারের প্রার্থনা। গির্জায় মন দিয়ে ঈশ্বরকে ডাকছিলেন বহু মানুষ। এমন সময় পরপর গুলি। একেবারে গির্জার ভিতরে ঢুকে। মুহূর্তে ঝাঁঝরা হয়ে গেলেন একের পর এক। ধর্মস্থানে বইল রক্তগঙ্গা। আর্ত চিৎকার করে লুটিয়ে পড়লেন একের পর এক প্রার্থনারত মানুষ। রবিবার এমনই নাশকতার সাক্ষী রইল সিরিয়া। সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস শহরের একটি গির্জায় আত্মঘাতী হামলায় নিহতর সংখ্যা কমপক্ষে ১৫। তবে এখনও পর্যন্ত প্রাণহানির সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
রবিবার ঘটনাটি সিরিয়ার দামাস্কাসের একটি গির্জায় প্রার্থনা চলাকালীন এই ভয়াবহ হামলাটি হয়। রক্তে ভেসে যায় চারিপাশ। একের পর এক নিরীহ মানুষের দেহ লুটিয়ে পড়ে। মৃতের সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে পারে বলে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা সূত্রে দাবি। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বহু মানুষকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এক আত্মঘাতী হামলাকারী গির্জার ভিতরে প্রবেশ করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। মানুষ একেবারে হতচকিত হয়ে যান। পালানোর সুযোগই পাননি বেশিরভাগ। লুটিয়ে পড়েন একের পর এক। ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুলিশবাহনী। জীবিতদের উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়।
ব্রিটেনের এক যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইট-এর দাবি, আহত হয়েছেন জনা তিরিশেক। কিছু স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে যে নিহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। সিরিয়ায় কয়েক বছরের মধ্যে এই ধরনের আক্রমণ ঘটেনি। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের অবসানের পর সিরিয়ায় এখন সরকার সংখ্যালঘুদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এরই মধ্যে এই ঘটনা নিঃসন্দেহে সরকারের প্রচেষ্টায় একটি বড় ধাক্কা। রাষ্ট্রপতি আহমেদ আল-শারা মনে করছেন, এই হামলা কোনও চরমপন্থী গোষ্ঠীর স্লিপার সেলই ঘটিয়েছে। এখনও এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কেউই। এক প্রত্যক্ষদর্শী অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান, একজন নয়। আরও ২ জন আক্রমণকারী ছিল, যারা গাড়ি চালিয়ে পালায়। আর যে গুলি চালায়, সে নাশকতা ঘটানোর পর আত্মঘাতী হয়।
সিরিয়ার তথ্যমন্ত্রী হামজা মোস্তাফা এই হামলার নিন্দা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন। সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনার দায় চাপিয়েছে ইসলামিক স্টেটের উপর। তবে,কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীই এখনও এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।






















