Teachers Transfer Agitation: অসুস্থ শিক্ষিকাদের সঙ্গে দেখা করতে বাধা পুলিশের, পাল্টা তোপ কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর
অসুস্থ শিক্ষিকাদের এনআরএসে দেখতে গেলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। কিন্তু, তাঁকে দেখা করতে দেয়নি পুলিশ। এর প্রতিবাদে সরব হন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
কলকাতা : বদলির প্রতিবাদে পুলিশের সামনেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা পাঁচজন শিক্ষিকার অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। এঁদের মধ্যে তিনজনকে আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ৩ জন শিক্ষিকা আরজি কর ও ২ জন এনআরএসে ভর্তি রয়েছেন। এই অসুস্থ শিক্ষিকাদের এনআরএসে দেখতে যান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। কিন্তু, তাঁকে দেখা করতে দেয়নি পুলিশ। এর প্রতিবাদে সরব হন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। পরে রাজ্যের শিক্ষা ও প্রশাসনের হাল স্পষ্ট বলে তোপ দাগেন তিনি।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ আধিকারিকরা পুরো রাস্তা আটকে আছেন। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের একটা অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমি ভারত সরকারের প্রতিমন্ত্রী। আমার নিজেরও হাসপাতাল আছে। কাজেই সিসিইউতে কেমন করে ঢুকতে হয়, কীভাবে ঢুকতে হয়...সেটা আমি জানি। তা সত্ত্বেও আটকানো হল। পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা ব্যবস্থার যে বাতাবরণ চলছে...সেটা ভয়ঙ্কর। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের যেটা বলছেন, তাঁদের যেটা দাবি বা তার জন্য ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন...তাঁদের সঙ্গে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী কোনও আলোচনা করলেন না। এটা তো অবাক হয়ে যাচ্ছি।"
বেতন বৈষম্য, বদলি-সহ একাধিক অভিযোগে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ। কখনও নবান্নে, কখনও আবার এক্কেবারে শিক্ষামন্ত্রীর পাড়ায়। এই আন্দোলনের জেরে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, ছাড়া পাওয়ার পর আন্দোলনকারী ১৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বদলি করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৫০ ঊর্ধ্ব পাঁচজন শিক্ষিকাকে উত্তরবঙ্গে বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে গতকাল বিকাশভবনের সামনে জমায়েত হন পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সদস্যরা। পুলিশ আটকালে ধস্তাধস্তি বেধে যায় দু-পক্ষের মধ্যে। এরপর আচমকাই শিশি থেকে কিছু বার খেতে শুরু করেন একের পর এক শিক্ষিকা।
এই ঘটনার পর রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশে সুর চড়িয়েছেন কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তিনি বলেন, শিক্ষক শিক্ষিকারা যখন নিজেদের দাবির জন্য জড়ো হচ্ছেন, তখন শিক্ষামন্ত্রী কোনও কথা বললেন, যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁদের দূর-দূরান্তে ট্রান্সফার করা হয়েছে, অভূতপূর্ব পরিস্থিতি, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী তিনি যেন অবশ্যই এই শিক্ষকদের দেখতে আসুন, তিনি যে ভুলটা করেছেন, সেটা শুধরে যাবে, ওনাদের যে দাবিদাওয়া আছে, কেন্দ্রের ৬০ ও রাজ্যের ৪০ শতাংশ মিলিয়ে যে সাম্মানিক পাওয়ার কথা, সেটা দেওয়ার ব্যবস্থা করুন।
যদিও এপ্রসঙ্গে ফেসবুক পোস্টে তিনি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সুবিধার্থে রাজ্য সরকারের নেওয়া একাধিক পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। একইসঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি বলেন, ‘বাড়ানো হয়েছে সাম্মানিক। প্রত্যেককে আনা হয়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায়। চালু হয়েছে এককালীন অবসর-ভাতা। মহিলাদের জন্য সরকারি নিয়মে মাতৃত্বকালীন ছুটির ব্যবস্থা। এরপরেও যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁরা বিজেপির ক্যাডার।’