Tejas Jet Crash : দুবাইয়ে ভেঙে পড়ল ভারতের যুদ্ধবিমান তেজস, পাইলটের মৃত্যু ! কালো ধোঁয়ায় ঢাকল এলাকা
Tejas Fighter Jet Crash : Hindustan Aeronautics Limited এর নির্মাণ করা তেজস হল ভারতের প্রথম স্বদেশীয় ফাইটার জেট।

প্রাথমিকভাবে স্পষ্ট ছিল না, দুর্ঘটনার আগে পাইলট বেরোতে পেরেছিলেন কি না। গত বছর মার্চ মাসেও দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল ভারতের যুদ্ধবিমান তেজস। সেবার অবশ্য প্রাণরক্ষা হয়েছিল পাইলটের। এবার আর তা হল না। দুবাইয়ে এয়ার শো চলাকালীন ভেঙে পড়া যুদ্ধবিমান তেজসের পাইলটের মৃত্যু হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানাল ভারতীয় বায়ুসেনা।
বিবৃতিতে IAF-এর তরফে জানানো হয়েছে, আজ দুবাইয়ে এয়ার শো-র সময় ভারতীয় বায়ুসেনার একটি তেজস বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনায় পাইলট গুরুতর আহত হন। ভারতীয় বায়ুসেনা প্রাণহানির জন্য গভীরভাবে শোক প্রকাশ করছে এবং এই শোকের সময়ে শোকাহত পরিবারের পাশে রয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ নির্ণয়ের জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
An IAF Tejas aircraft met with an accident during an aerial display at Dubai Air Show, today. The pilot sustained fatal injuries in the accident.
— Indian Air Force (@IAF_MCC) November 21, 2025
IAF deeply regrets the loss of life and stands firmly with the bereaved family in this time of grief.
A court of inquiry is being…
Aeronautical Development Agency-এর ডিজাইন করা এবং Hindustan Aeronautics Limited এর নির্মাণ করা তেজস হল ভারতের প্রথম স্বদেশীয় ফাইটার জেট। যদিও এতে বিদেশি ইঞ্জিন রয়েছে। ভারতীয় বায়ুসেনা তাদের স্কোয়াড্রন শক্তি পূরণের জন্য তেজস যুদ্ধবিমানের উপর নির্ভরশীল। তেজস একটি ৪.৫-প্রজন্মের বহুমুখী যুদ্ধ বিমান, যা এয়ার ডিফেন্স মিশন, বিমান সহায়তা এবং ক্লোজ কমব্যাট অপারেশনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এই শ্রেণির সবচেয়ে হালকা এবং ক্ষুদ্রতম যুদ্ধবিমান হিসেবে পরিচিত এটি। বিমানটির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হল, এর মার্টিন-বেকার শূন্য-শূন্য ইজেকশন আসন, যা পাইলটদের এমার্জেন্সির সময়েও নিরাপদে ইজেকশন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে -- তা সে উড়ান বা অবতরণের সময়ই হোক না কেন। এদিন দুবাই ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রালের অল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি প্রদর্শনীর সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
এ প্রসঙ্গে ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার সুকান্ত রায় বলেন, "সুপারসোনিক স্পিড। এর গতি মেইন্টেন করা একটা বড় ব্যাপার। পরিকল্পনা করেই এয়ারক্রাফ্ট এগোয়। কিন্তু, দেখলাম যেভাবে বিমানটি ভেঙে পড়ল তাতে পাইলট বিন্দুমাত্র সময় পাননি তাকে রিকভারি করার। এর পিছনে অনেক রকম ফ্যাক্টর কাজ করতে পারে। ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার থেকে বিশ্লেষণ করে তথ্য বেরিয়ে আসবে। তবে ভিডিও দেখে যেটুকু বোঝা যাচ্ছে, হঠাৎ যখন ওঁর কন্ট্রোল ফেল হল, সম্ভাব্য কারণ হতে পারে, কন্ট্রোল ফেলিওর। অর্থাৎ, ব়্যাডার কন্ট্রোল কোনও কারণে স্টাক হয়ে গেলে, তাহলে সেক্ষেত্রে ডাইরেকশন অফ এয়ারক্র্যাফ্ট একেবারে হাতের বাইরে চলে যাবে। আর একটা হতে পারে, ইমিডিয়েট হাইড্রোলিক টোটাল ফেলিওর হয়ে গেলে, তখন সমস্ত কন্ট্রোল কাজই করবে না। আর একটা হতে পারে, ফ্লেম-আউট হয়ে গেল ইঞ্জিন।"


















