Tibetan Uprising Day: চিনাসেনার হামলায় রক্তাক্ত তিব্বত! ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন দলাই লামা, ১০ মার্চ বিশ্বজুড়ে স্মরণ
Dalai Lama: তিব্বত থেকে কোনওক্রমে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন দলাই লামা। তাঁর সঙ্গে এসেছিল বিশাল সংখ্যক অনুগামী।
নয়াদিল্লি: সালটা ১৯৫৯, দিনটা ১০ মার্চ। তিব্বতের লাসায় (Lhasa) রাস্তায় নেমেছিলেন হাজার হাজার তিব্বতি নাগরিক। চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ছিল সেই আন্দোলন। তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামাকে আটক করতে চেয়েছিল চিনা প্রশাসন। তা আটকাতেও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন তিব্বতিরা। লাসায় দলাই লামার বাসস্থানের চারপাশে ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়েছিল। কিন্তু চিনা শক্তির সামনে হারতে বাধ্য হন তাঁরা। চিনা সেনার বিরুদ্ধে মারাত্মক হিংসাত্মক কার্যকলাপের অভিযোগও উঠেছিল। বহু তিব্বতি আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়, পালিয়ে এসে ভারতে আশ্রয় নেন তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা। ওই ঘটনার পর থেকে প্রতিবছর ১০ মার্চ সারা বিশ্বে Tibet National Uprising Day পালন করা হয়। বিশ্বের যে যে দেশে তিব্বতিরা আশ্রয় নিয়েছেন, তাঁরা এদিন বিক্ষোভ দেখিয়ে ওই ঘটনার বিরোধিতা করে। তিব্বতকে দখলমুক্ত করার ডাকও দেওয়া হয়। এই বছর ৬৪তম Tibet National Uprising Day .
যে এলাকা তিব্বত বলে চিহ্নিত করা হয় সেটা আদতে সাতের শতকে রাজা সংসেন গ্যাম্পো (Songsten Gampo)-এর তৈরি রাজত্ব। সেখানে তাঁর বংশেরই রাজত্ব ছিল। চিনে কমিউনিস্ট অভ্যুত্থান হওয়ার পরে চিনা ফৌজ তিব্বতে অনুপ্রবেশ করে। তিব্বতি সেনাকে হারিয়ে প্রায় অর্ধেক তিব্বত দখল করে নেয়। তারপর থেকেই বারংবার চিনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তিব্বতের নাগরিকরা। এরপরে ১৯৫৯ সালে ওই অবস্থা আরও বড় আকার নেয়। বাকি তিব্বতও দখল নেওয়ার জন্য পূর্ণশক্তি প্রয়োগ করে চিন। প্রতিরোধ করে তিব্বতিরা। কিন্তু চিনা শক্তির কাছে পরাজিত হয় তারা। বহু তিব্বতি আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গুম্ফা কামানের গোলায় মারাত্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একাধিক গুম্ফা লুট করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বহু তিব্বতি সন্ন্যাসীকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে চিনা সেনার বিরুদ্ধে।
ভারতে আশ্রয়:
ওই ঘটনার সময় তিব্বত (Tibet) থেকে কোনওক্রমে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন দলাই লামা (Dalai Lama)। তাঁর সঙ্গে এসেছিল বিশাল সংখ্যক অনুগামী। তাঁরাও ভারতে আশ্রয় নেন। অরুণাচল প্রদেশের বমডিলা দিয়ে ভারতে ঢোকেন তাঁরা। অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং মঠে ছিলেন দলাই লামা। তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামাকে ভারত আশ্রয় দেওয়ার প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল চিন। চিনের চাপেও ভারত দলাই লামাকে আশ্রয়চ্যুত করতে রাজি হয়নি। এর জেরে ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকে। তার কয়েকবছর পরে ভারত আক্রমণ করে চিন। বর্তমান পরিস্থিতিতেও ভারত-চিনের সম্পর্ক (India China Relation) একেবারেই সহজ নয়।
ভারতেও এদিন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তিব্বতিদের সংগঠন।
আরও পড়ুন: হামবুর্গে হামলা! এলোপাথাড়ি গুলিতে বহু মৃত্যুর আশঙ্কা