German Church Shooting: হামবুর্গে হামলা! এলোপাথাড়ি গুলিতে বহু মৃত্যুর আশঙ্কা
Germany Mass Shooting:এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা জানানো হয়নি প্রশাসনের তরফে। আততায়ী কে জানতে, চলছে তদন্ত।
হামবুর্গ: জার্মানির অন্যতম ব্যস্ত শহর হামবুর্গে বন্দুকবাজের (Germany Mass Shooting) হামলা। এলোপাথাড়ি গুলিতে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা জানানো হয়নি প্রশাসনের তরফে।
হামবুর্গ (Hamburg) শহরের উত্তর দিকে একটি ধর্মীয় স্থানে হামলা হয়। Jehovah’s Witness center- এ ওই হামলরা খবর পুলিশের কাছে পৌঁছতেই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। ঘটনার পরপরই স্থানীয় পুলিশের তরফে একটি ট্যুইট করা হয়, সেখানে জানানো হয়েছিল একাধিক ব্যক্তি গুরুতর জখম হয়েছেন, কয়েকজনরে অবস্থা আশঙ্কাজনক।
কেন এই হামলা?
জার্মানির হামবুর্গের মতো শহরে হঠাৎ কেন এই হামলা হয়েছে তার কোনও কারণ এখনও জানায়নি সেখানকার পুলিশ। এখনই সেই সংক্রান্ত কোনও তথ্য নেই বলে জানানো হয়েছে, এই ঘটনা নিয়ে জল্পনা যাতে না ছড়ায় তার জন্যও বলা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটার সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকা 'extreme danger'- তালিকায় ঢোকানো হয়েছিল। কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য তা তুলে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Jehovah’s Witness center- একটি বাইবেল স্টাডি গ্রুপ (Bible Study Group)। তিনতলা ওই বাড়িটিতে ওইদিনও একটি জমায়েত ছিল। স্থানীয় সূত্রের খবর, সপ্তাহে একদিন সেখানে কয়েকজন আসতেন, বাইবেল সংক্রান্ত আলোচনা সভা চলত। সেখানেই হামলা চলে। এলোপাথাড়ি গুলিতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। মৃতদের মধ্যে হামলাকারীও রয়েছে বলে স্থানীয় পুলিশের একটি অংশের অনুমান। যদিও তা নিয়ে কোনও সরকারি বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
১৯ শতকে আমেরিকায় (America) Jehovah’s Witnesses- নামে একটি ধর্মীয় আন্দোলন শুরু হয়েছিল। জার্মানিতে প্রায় পৌনে ২ লক্ষ অনুগামী রয়েছে এদের। হামবুর্গ শহরেও প্রচুর অনুগামী রয়েছে। অহিংসার প্রচার করেন এঁরা।
এর আগেও হামলা:
সাম্প্রতিক কিছু বছরে একাধিকবার এমন নানা হামলা হয়েছে জার্মানিতে (Germany)। ২০১৬ সালে বার্লিন ক্রিস্টমাস মার্কেটে ট্রাক নিয়ে হামলা চালিয়েছিল ইসলামি মৌলবাদীরা। একজন ISIS-সমর্থক তিউনিশিয়ার নাগরিক ওই হামলা চালিয়েছিল। একাধিক সন্ত্রাসবাদীকে বিপজ্জনক তকমায় রাখা হয়েছে ওই দেশে। ইরাক ও সিরিয়ায় ISIS-বিরোধী জোটে সামিল জার্মানি, তার পর থেকেই ISIS-এর নিশানায় রয়েছে এই দেশ। পাশাপাশি, অতি-দক্ষিণপন্থীদের দাপটও বেড়েছে। এই সরকার নিও-নাৎসিদের দমাতে বিশেষ কোনও কাজ করতে না বলে অভিযোগ। ২০২০ সালে অতি-দক্ষিণপন্থী একটি দলের হামলায় বেশ কিছু মৃত্যু হয় জার্মানির একটি শহরে।