(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Boris Johnson : ২ দিনের সফরে ভারতে আসছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, নজরে কর্মসংস্থান-প্রতিরক্ষা
UK PM Boris Johnson : প্রসঙ্গত, রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসন নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে ভারত। অন্যদিকে, মস্কোর ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে লন্ডন
লন্ডন : পরের সপ্তাহেই ভারতে আসতে পারেন ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন (Boris Johnson)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করতে পারেন। ব্রিটিশ রাষ্ট্রনেতা হিসেবে এটাই তাঁর প্রথম ভারত সফর হতে চলেছে। এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের শান্তি ও সমৃদ্ধিতে হুমকি আসছে বিভিন্ন স্বৈরাচারী রাষ্ট্র থেকে। তাই, গণতান্ত্রিক ও বন্ধু রাষ্ট্রগুলির এক থাকা উচিত।
প্রসঙ্গত, রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসন নিয়ে নিরপেক্ষ অবস্থান নিয়েছে ভারত। অন্যদিকে, মস্কোর ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে লন্ডন। এমনকী কিভে অস্ত্র সরবরাহও করেছে। মোদি সরকার সরাসরি ক্রেমলিনের পদক্ষেপের নিন্দা করেনি। তবে, ইউক্রেনকে মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে। ভারতের বক্তব্য, রাশিয়া দীর্ঘদিনের বন্ধু। এছাড়া দেশের বিদেশ নীতির অন্যতম ভিত্তি। জাতীয় নিরাপত্তাতেও মস্কো কৌশল-সঙ্গী।
জনসন জানান, ২১-২২ এপ্রিল তাঁর ভারত সফরের মূল ফোকাস থাকবে উভয় দেশের মানুষের জন্য চাকরি সৃষ্টি থেকে আর্থিক বৃদ্ধি, শক্তির নিরাপত্তা থেকে প্রতিরক্ষা। তাঁর সংযোজন, এই অনিশ্চয়তার সময়ে বিশ্বের সবথেকে বড় গণতন্ত্র ও প্রধান অর্থনৈতিক শক্রি হিসেবে ভারত ইংল্যান্ডের খুবই মূল্যবান কৌশল-সঙ্গী।
জনসনের অফিস থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও জনসন ২২ এপ্রিল বিস্তারিত আলোচনা করবেন। কৌশলগত প্রতিরক্ষা, কূটনীতি ও অর্থনৈতিক পার্টনরশিপ নিয়ে আলোচনা হবে। যাতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরে পারস্পরিক নিরাপত্তা সমঝোতা আরও বাড়ানো যায়।
২১ এপ্রিল আমদাবাদ পরিদর্শন করবেন জনসন। গুজরাতের অন্যতম প্রধান শহর এবং ব্রিটেনে বসবাসকারী অর্ধেক অ্যাঙ্গলো-ইন্ডিয়ানদের পৈত্রিক বাড়ি। ডাউনিং স্ট্রিট সূত্রের খবর, ব্রিটেনে প্রধান বিনিয়োগ নিয়ে গুজরাতে ঘোষণা করতে পারেন জনসন।
এর পাশাপাশি ব্রিটেন ও ভারতের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে পারস্পরিক সমঝোতার চেষ্টা করবেন তিনি। কাজেই, জনসনের এই সফর নিয়ে প্রত্যাশার পারদ চড়ছে। একাধিক বিষয়ে আলোচনা পারস্পরিক সম্পর্ক আরও মজবুত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।