Gas Pricing Formula : গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের জন্য সংশোধিত গাইডলাইনে অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার
Domestic Gas Pricing : প্রাকৃতিক গ্যাস যা এপিএম গ্যাস নামে পরিচিত, এখন গ্যাসের দামের পরিবর্তে অপরিশোধিত তেলের দামের সাথে যুক্ত হবে
নয়াদিল্লি : ডমেস্টিক গ্যাসের মূল্য (Domestic Gas Pricing) নির্ধারণের জন্য সংশোধিত গাইডলাইন অনুমোদন করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Union Cabinet)। বৃহস্পতিবার এই অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। প্রাকৃতিক গ্যাস যা এপিএম গ্যাস নামে পরিচিত, এখন গ্যাসের দামের পরিবর্তে অপরিশোধিত তেলের দামের সাথে তা যুক্ত হবে। যেমনটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং রাশিয়ার মতো দেশগুলিতে হয়ে থাকে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে একথা জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur)। তিনি বলেন, প্রতি মাসে বিজ্ঞপ্তি (Notification) দেওয়া হবে যাতে গ্যাসের দাম স্থিতিশীল থাকে। এর পাশাপাশি প্রতিকূল বাজারে দামের ওঠানামা থেকে উৎপাদকরা যাতে পর্যাপ্ত সুরক্ষা পান তাও নিশ্চিত করা হবে।
মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের জেরে পাইপলাইনের মাধ্যমে উৎপাদিত গ্যাসের দাম ১০ শতাংশ সস্তা হবে এবং সিএনজি বা কমপ্রেসড ন্যাচরাল গ্যাসের দাম সস্তা হবে ৬ শতাংশ। এমনটাই জানাচ্ছেন তেল বিষয়ক সচিব পঙ্কজ জৈন। এই মর্মে আজ শুক্রবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করবে কেন্দ্র। যেখানে সংশ্লিষ্ট পরিবর্তনের কথা উল্লেখ থাকবে। শনিবার থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
বর্তমানে হেনরি হাব, আলবেনা, ন্যাশনাল ব্যালেন্সিং পয়েন্ট (ব্রিটেন) এবং রাশিয়া-এই চারটি গ্যাস ট্রেডিং হাব-এ দামের ভিত্তিতে প্রতি ছয় মাস অন্তর রান্নার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, এই চারটি গ্যাস হাবের উপর ভিত্তি করে মূল্য নির্ধারণে সময়ে অনেক ব্যবধান থেকে যাচ্ছে। তাই এর সংস্কারের প্রয়োজন ছিল।
এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রীয় তৈলমন্ত্রী হরদীপ পুরি ট্যুইটে দাবি করেছেন, কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্তে ক্রেতাদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। তিনি লিখেছেন, ভারতে গ্যাসের দামের উপর আন্তর্জাতিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রভাব কমিয়ে উপভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিভিন্ন উদ্যোগ ধারাবাহিকভাবে নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা রান্নার গ্যাসের দাম নির্ধারণের সংশোধিত গাইডলাইন অনুমোদন করেছে।
প্রসঙ্গত, ভারত প্রাকৃতিক গ্যাসের শেয়ার বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে তা ৬.৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে উপরোক্ত সংস্কারগুলি প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বাড়াতে সাহায্য করবে । প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর মাধ্যমে এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন ; রান্নার গ্যাস থেকে সুদের হার বৃদ্ধি, আজ থেকে বদলে গেল এই নিয়ম