Amit Shah on CAA: প্রথমে বিজ্ঞপ্তি, তার পর কার্যকর আইন, ভোটের আগেই CAA, ঘোষণা শাহের
Lok Sabha Elections 2024: ২০১৯ সালে সংসদে CAA পাশ হয়। তার পর পাঁচ বছর কাটতে চললেও, এখনও গোটা দেশে CAA কার্যকর করা যায়নি।
নয়াদিল্লি: নির্বাচনী মরশুমে বার বার শোনা গিয়েছে উল্লেখ। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেও তার পুনরাবৃত্তি। আঞ্চলিক স্তরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু নিয়ে নিত্য-নতুন দাবি সামনে আসছে। এবার CAA চালু করা নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। জানালেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশের CAA চালু হবে। (Amit Shah on CAA)
২০১৯ সালে সংসদে CAA পাশ হয়, তার পর পাঁচ বছর কাটতে চললেও, এখনও গোটা দেশে CAA কার্যকর করা যায়নি। গোটা বিষয়টিকেই নির্বাচনী গিমিক বলে দাবি করছেন বিরোধীরা। সেই আবহেই চলতি বছরে CAA চালু করা হবে বলে জানালেন শাহ। লোকসভা নির্বাচনের আগেই সেই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলে জানালেন তিনি। (Lok Sabha Elections 2024)
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম আয়োজিত সম্মেলনে যোগ দিয়ে এই ঘোষণা করেন শাহ। এতদিন CAA কার্যকর না হওয়ার জন্য কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। শাহের বক্তব্য, "কংগ্রেস সরকার CAA কার্যকর করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। দেশভাগের পর অন্য দেশের সংখ্যালঘুদের উপর হয়ে চলা অত্যাচারের নিরিখে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, শরণার্থীদের স্বাগত জানানো হয়, ভারতের নাগরিত্বের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।"
আরও পড়ুন: EPFO Interest Rate: তিন বছরে সর্বোচ্চ, PF-এ সুদের হার বৃদ্ধির প্রস্তাব EPFO-র
দেশে CAA চালু নিয়ে শাহ বলেন, "বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে প্রথমে। তার পর, লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে কার্যকর হবে CAA. পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশে নিপীড়িতদের নাগরিকত্ব দিতেই CAA কার্যকর করা হবে। কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া আমাদের লক্ষ্য নয়। মুসলিম ভাইদের ভুল বোঝানো হচ্ছে, CAA-র বিরোধিতা করতে মদত জোগানো হচ্ছে ওঁদের।"
২০১৯ সালে CAA পাশ করে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। এর আওতায় পড়শি দেশে নিপীড়িত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। পড়শি দেশ থেকে আগত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু ওই সব দেশে নিপীড়িত, মুসলিমদের কথা বলা হয়নি কোথাও। সেই নিয়ে যেমন প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা, একই ভাবে, ধাপে ধাপে CAA, NRC, NPR কার্যকর করার নেপথ্যে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বৃহত্তর উদ্দেশ্য রয়েছে বলেও অভিযোগ বিরোধীদের। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের বিষয়টি নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে।