US Visa Rule: আমেরিকায় ঢুকতে গেলে জমা করতে হবে ১৫ হাজার ডলারের বন্ড ! মার্কিন ভিসা নিয়ে বড় ঘোষণা
US Visa Bond: ভ্রমণকারী যদি ভিসার শর্ত মেনে চলেন, তবে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। যারা অনুমোদিত সময়ের বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন তাদের সম্পূর্ণ বন্ড বাজেয়াপ্ত করা হবে- জানিয়েছে মার্কিন সরকার।

New US Visa Rule: গতকাল সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রক ঘোষণা করেছে যে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার সময়সীমা কমানোর লক্ষ্যে একটি পাইলট প্রকল্পের অংশ হিসেবে শীঘ্রই কিছু বিদেশি নাগরিককে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত ভিসা বন্ড জমা করতে হবে। এই বছর জানুয়ারি মাসে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর তারই অংশ হিসেবে এই ঘোষণা করা হয়েছে মার্কিন সরকারের তরফে।
মার্কিন সংবাদসংস্থার তরফে জানা গিয়েছে আগামী ২০ অগাস্ট থেকে শুরু হবে এই ১২ মাস ব্যাপী পাইলট প্রকল্প যেখানে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার জন্য উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির বি-ওয়ান বিজনেস ও বি-টু ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য নির্দিষ্ট কিছু আবেদনকারীদের উপরে এই বন্ড নীতি কার্যকর করা হবে।
নতুন মার্কিন ভিসা নীতিটি কী
মঙ্গলবার ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশিত মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক বিজ্ঞপ্তি অনুসারে কনস্যুলার অফিসাররা ভিসা অনুমোদনের শর্ত হিসেবে নন-ইমিগ্র্যান্ট আবেদনকারীদের ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত বন্ড জমা করতে বাধ্য করতে পারেন। ন্যূনতম বন্ডের পরিমাণ ৫ হাজার ডলার, আর ভ্রমণকারী যদি ভিসার শর্ত মেনে চলেন, তবে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। যারা অনুমোদিত সময়ের বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকবেন তাদের সম্পূর্ণ বন্ড বাজেয়াপ্ত করা হবে। এই বন্ড নীতির অধীনে পূর্ব-নির্বাচিত মার্কিন বিমানবন্দরের তালিকার ক্ষেত্রেও প্রবেশ ও প্রস্থান নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে, বন্ড শোধ করলে তবেই মিলবে অনুমোদন।
কাদের উপর পড়বে কোপ
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে যে ২০২৩ সালের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের প্রতিবেদনে চিহ্নিত ‘হাই ভিসা ওভারস্টে রফেট’ সম্বলিত দেশগুলির উপরেই বড় ঝুঁকি রয়েছে এই নতুন ভিসা নীতির। তাছাড়া যে সমস্ত দেশের স্ক্রিনিংয়ে ত্রুটি রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, বা যেখানে শুধুমাত্র বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব অর্জন করা যায় সেই সমস্ত দেশের আবেদনকারীদের ভিসার জন্য এই বন্ড জমা দিতে হবে।
কীভাবে কাজ করবে এই বন্ড
এই বন্ডগুলি মূলত আর্থিক প্রতিবন্ধকতা তৈরির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যদি ভিসাধারকরা সময়মত দেশ ত্যাগ করেন, তাহলে তাদের পুরো টাকাই ফেরত দেওয়া হবে। যদি তারা অতিরিক্ত সময় ধরে দেশে থাকেন, তাহলে এই বন্ডের টাকা মার্কিন সরকার বাজেয়াপ্ত করবে। এই পাইলট প্রকল্প কেবলমাত্র বি ওয়ান ও বি টু ভিসাধারকদের জন্যই প্রযোজ্য হবে এবং তাদের নির্ধারিত কিছু বিমানবন্দরের মাধ্যমেই যাতায়াত করতে হবে।






















