UP Woman Judge: সিনিয়রের হাতে যৌন হেনস্থা, প্রধান বিচারপতিকে চিঠি মহিলা বিচারকের, কাতর আর্তি, ‘মরতে দিন আমাকে’
CJI DY Chandrachud: অভিযোগকারিণী মহিলা বিচারক উত্তরপ্রদেশের বান্দার বাসিন্দা।
নয়াদিল্লি: কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থার শিকার মহিলা বিচারক (UP Woman Judge)। সিনিয়রের হাতেই যৌন হেনস্থা বলে জানালেন। সসম্মানে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন তিনি। বিষয়টি সামনে আসতেই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়কে চিঠি লিখে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন মহিলা বিচারক। তাতে রিপোর্ট তলব করলেন প্রধান বিচারপতি। (CJI DY Chandrachud)
অভিযোগকারিণী মহিলা বিচারক উত্তরপ্রদেশের বান্দার বাসিন্দা। সেখান থেকেই প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখেছেন তিনি। মুহূর্তের মধ্যে সেটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে অভিযোগকারিণী চিঠিতে লিখেছেন, 'সম্মানের সঙ্গে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দিন আমাকে। আমার জীবনের সমাপ্তি ঘটতে দিন। যৌন হেনস্থার শিকার হতে হতে একেবারে খাদের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছি। আবর্জনার মতো আচরণ করা হয়েছে আমার সঙ্গে। নিজেকে অবাঞ্ছিত কীট ছাড়া কিছু মনে হচ্ছে না'।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের জেলা আদালতের সিনিয়র বিচারকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন অভিযোগকারিণী। বরাবাঁকিতে কর্মরত থাকাকালীন যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি সামনে আসতেই সক্রিয় হয়েছেন প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের জেনারেল সেক্রেটারি অতুল এম কুরহেকর এলাহাবাদ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে চিঠি দিয়েছে রিপোর্ট তলব করেছেন। শুক্রবার সকালের মধ্যেই রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Smoke Cannister Incident: গ্রেফতার সংসদে হানায় অন্যতম অভিযুক্ত ললিত ঝা
এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতিও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন বলে সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেলকে বুধবার রাতে জানানো হয়েছে। কিন্তু চিঠিতে অভিযোগকারিণী জানিয়েছেন, এবছর জুলাই মাসেই এলাহাবাদ হাইকোর্টের ইন্টার্নাল কমপ্লেন্ট কমিটির কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। সেই নিয়ে তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়। কিন্তু ওই তদন্তের নামে যা হয়েছে, তা প্রহসন, ভণ্ডামি ছাড়া কিছু নয়।
অভিযোগকারিণী মহিলা বিচারকের বক্তব্য, 'তদন্তে সাক্ষী হিসেবে যাঁদের নাম রাখা হয়, তাঁরা অভিযুক্ত বিচারকের সহযোগী। নিজের সিনিয়রের বিরুদ্ধে তাঁরা মুখ খুলবেন কী করে? নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ওই বিচারককে বদলির আবেদনও জানিয়েছিলাম। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টেই মাত্র ৮ সেকেন্ডে আমার আবেদন খারিজ হয়ে যায়। আর বেঁচে থাকার ইচ্ছে নেই আমার। গত দেড় বছর ধরে জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে রয়েছি। প্রাণহীন, আত্মাহীন এই শরীর আর টেনে নিয়ে যেতে পারছি না'। মহিলা বিচারকের এই চিঠি সামনে আসতে স্তম্ভিত নেট দুনিয়াও। আইনকে পেশা হিসেবে বেছে নেওয়া মহিলা যদি এই অবস্থার শিকার হন, বাকিদের কী হবে, উঠছে প্রশ্ন।