US Earthquake : তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আলাস্কা, সুনামির সতর্কবার্তা
Depth of Quake : USGS জানিয়েছে, ভূপৃষ্ট থেকে ৯.৩ কিলোমিটার বা ৫.৭৮ মাইল গভীরতা পর্যন্ত এর কম্পনের ব্যাপ্তি ছিল।
আলাস্কা : তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল আলাস্কা উপদ্বীপ। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭.৪। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে ((USGS)) সূত্রের খবর। ভূমিকম্পের জেরে সুনামির সতর্কবার্তা জারি করেছে আমেরিকার সংশ্লিষ্ট বিভাগ। USGS জানিয়েছে, ভূপৃষ্ট থেকে ৯.৩ কিলোমিটার বা ৫.৭৮ মাইল গভীরতা পর্যন্ত এর কম্পনের ব্যাপ্তি ছিল।
সপ্তাহ দু'য়েক আগেই ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজ। সেবার অবশ্য মৃদু কম্পন অনুভূত হয়। শহর থেকে ১২ মাইল দূরে এবং ঈগল নদীর দক্ষিণে প্রায় দুই মাইল দূরে ভূমিকম্প হয়। তখন কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। USGC-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৭.৫ মাইল গভীরতা পর্যন্ত ব্যাপ্তি ছিল ভূমিকম্পের। পরে পশ্চিম উপকূলেও অপর একটি কম্পন অনুভূত হওয়ার খবর সামনে আসে।
ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা এই আলাস্কা। এর আগে ১৯৬৪ সালেও ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল এই এলাকা। উত্তর আমেরিকার বুকে এর থেকে তীব্র ভূমিকম্প আর হয়নি। কার্যত অ্যাঙ্কোরেজকে ধ্বংসপুরীতে পরিণত করেছিল এই ভূমিকম্প। যার জেরে সুনামি হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আলাস্কা উপসাগর, আমেরিকার পশ্চিম উপকূল এবং হাওয়াই। সেবার ভূমিকম্প ও সুনামির জোড়া ফলায় বিদ্ধ হয়ে আড়াইশোর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
এ বছর মার্চ মাসে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের উত্তরে কেরমাডেক (Kermadec Island) দ্বীপে আঘাত হানে ভূকম্প। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ছিল ৭.১।
মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভে সূত্রে জানা যায়, ভূমিকম্পের উৎস খুব বেশি গভীরে ছিল না। মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার নীচে ছিল উৎসস্থল। কাছাকাছি থাকা মার্কিন সুনামি ওয়ার্নিং সিস্টেম থেকে সুনামির সতর্কতাও জারি হয়। ৩০০ কিলোমিটার ব্যাসের একটি এলাকায় এই সতর্কতা জারি হয়। তবে সেখানকার দ্বীপগুলিতে মানুষের বসবাস ছিল না। সেদেশের ন্যাশনাল এমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি থেকে জানানো হয়, ভূমিকম্পের পরে সেখানে সুনামির কোনও সতর্কতা নেই।
ফেব্রুয়ারিতেও একবার ভূমিকম্পে কেঁপেছিল নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডে রাজধানী ওয়েলিংটনে ভূকম্প অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের (Earthquake) মাত্রা ছিল ৬.১ । সূত্রের খবর, ভূমি থেকে ৭০ কিলোমিটার নীচে ভূমিকম্পের উৎসস্থল। ওই এলাকায় থাকা বাসিন্দারা ভূমিকম্প বুঝতে পারেন। ওই দেশের দুটি প্রধান দ্বীপের মাঝে কুক প্রণালী (Cook Strait)- এলাকায় এর এপিসেন্টার ছিল। যদিও এই ভূমিকম্পের কারণে কোনওরকম সুনামির সতর্কতা ছিল না। এর আগে ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েলের ধাক্কায় তছনছ হয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা।