US Citizenship: আমেরিকার নাগরিকত্ব পেতে দিতে হবে চরিত্রের পরীক্ষা, নয়া নিদান ট্রাম্প সরকারের
US Tightens Citizenship Rules: আমেরিকার নাগরিকত্ব সংক্রান্ত নতুন বিধি-নিয়ম প্রকাশ করেছে ট্রাম্প সরকার।

নয়াদিল্লি: আমেরিকা থেকে অভিবাসী বিতাড়ন ঘিরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। সেই আবহেই আমেরিকার নাগরিকত্ব সংক্রান্ত নিয়ম কানুন আরও আঁটোসাটো করা হল, যাতে ‘চরিত্রের পরীক্ষা’ও দিতে হবে আবেদনকারীদের। একমাত্র ‘সেরার সেরা’দেরই আমেরিকার নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে জানাল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। (US Tightens Citizenship Rules)
আমেরিকার নাগরিকত্ব সংক্রান্ত নতুন বিধি-নিয়ম প্রকাশ করেছে ট্রাম্প সরকার। এমন ভাবে এই বিধি-নিয়ম সাজানো হয়েছে, তাতে উপযুক্ত কাগজপত্র ছাড়া দেশে প্রবেশকারী মানুষজনের নাগরিকত্ব পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে গিয়েই ‘চরিত্রের পরীক্ষা’ বিষয়টি নজর কেড়েছে সকলের। (US Citizenship)
US Citizenship and Immigration Services (USCIS) বিবৃতিতে বলে, “আমেরিকার নাগরিকত্ব আসলে নাগরিকত্বের স্বর্ণালী মানদণ্ড। পৃথিবীর সেরার সেরাদেরই আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত।” USCIS-এর মুখপাত্র ন্যাথু ট্র্যাগেসার বলেন, “আমেরিকার নাগরিকত্ব প্রদানের প্রক্রিয়ায় নতুন একটি উপাদা যোগ করা হচ্ছে, নতুন নাগরিকরা আমেরিকার সংস্কৃতি, ইতিহাস, ভাষাকে স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণ করতে পারেন এবং তাঁদের ভাল নৈতিক চরিত্রের প্রমাণ মেলে।”
USCIS আমেরিকার অভিবাসন সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয় দেখে। সাধারণত, বৈধ অভিবাসী, যাঁদের কাছে স্থায়ীভাবে আমেরিকায় বসবাসের অনুমতিপত্র রয়েছে, গ্রিন কার্ড রয়েছে, তাঁরা তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ইংরেজি জ্ঞানের পরীক্ষা দিতে হয়, নাগরিক হওয়ার পরীক্ষাও দিতে হয়। পাশাপাশি, তাঁদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়ার রীতিও রয়েছে। ওই ব্যক্তি কোনও অপরাধে যুক্ত কি না, মদ্যপান করে কোনও কাণ্ড ঘটিয়েছেন কি না, তা-ই খতিয়ে দেখা হতো। কিন্তু নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, কোনও অপরাধের রেকর্ড রয়েছে কি না, তার বাইরেও যেতে হবে অফিসারদের। আবেদনকারীর ‘এলিয়েন’ (বিদেশী নাগরিক)-এর আচরণ কেমন, সামাজিক রীতিনীতি মেনে চলেন কি না, কোনও ইতিবাচক আচরণ, যার মাধ্যমে তাঁর ভাল নৈতিক চরিত্রের প্রমাণ মেলে, তা মূল্যায়ন করে দেখতে হবে।
ভাল নৈতিক চরিত্র বলতে কী, তাও ব্যাখ্য়া করা হয়েছে। বলা হয়েছে, দেখতে হবে ওই ব্যক্তি সামাজিক ক্ষেত্রে কতটা মিলেমিশে থাকেন, পরিবারের যত্ন নেন কতটা, তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, আইনসম্মত ও স্থিতিশীল কর্মসংস্থান, সময় মতো কর দেন কি না, আমেরিকায় কত দিন ধরে রয়েছেন, সব খতিয়ে দেখতে হবে অফিসারদের। ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন কি না, কাউকে হেনস্থা করেছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখা জরুরি।
আমেরিকার নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে নৈতিক চরিত্র যাচাই করা জরুরি বলে লাগাতার দাবি তুলে আসছিলেন ট্রাম্প অনুগামীরা। এবছর দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করে গোড়াতেই ট্রাম্প জানিয়ে দেন, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব প্রাপ্তির দিন শেষ আমেরিকায়। বিদেশি পড়ুয়া ভর্তি নেওয়া বন্ধ করার নির্দেশ থেকে, হাতে-পায়ে-কোমরে বেড়ি পরিয়ে বিদেশী বিতাড়ন, কিছুই বাদ দেননি। আর সেই থেকেই আমেরিকার নাগরিকত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে সবদিক খতিয়ে দেখার দাবি উঠছিল। এবার সেই মতোই ‘চরিত্র পরীক্ষা’র শর্ত রাখল ট্রাম্প সরকার।





















