Viral News: ধেড়ে থেকে নেংটি, ‘রামরাজ্যে’ ইঁদুর গাঁজাখোর! এক্কেবারে ৫০০ কেজি সাবাড় করে দিল!
Mathura Rats: পুলিশ জানিয়েছে, মোট ৫৮১ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। বাজরার বস্তায় ভরে মজুত করে রাখা হয়েছিল শেরগড় এবং হাইওয়ে থানার গুদামে। কিন্তু কিছুই বেঁচে নেই। সব চলে গিয়েছে ইঁদুরের পেটে।
নয়াদিল্লি: মদ্যপ বলে দুর্নাম হয়েছিল আগেই। এ বার গাঁজাখোরের তকমাও জুড়ল। ধেড়ে থেকে নেংটি, বাদ গেল না কেউ। 'রামরাজ্যে' কুখ্যাতদের তালিকায় নাম উঠল ইঁদুরের দলের। পাঁচ ১০ গ্রাম হলে না হয় কথা ছিল, একেবারে ৫০০ কেজি গাঁজা তারা খেয়ে সাবাড় করে দিয়েছে বলে দাবি করল পুলিশ (Drug Addict Rats)।
মদ্যপ বলে দুর্নাম ছিলই, এ বার গাঁজাখোর অপবাদ জুড়ল
পাচারকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার গাঁজার (Weed) হিসেব চেয়ে মামলা পৌঁছয় বিশেষ মাদক সংক্রান্ত বিচার আদালতে (Special Narcotic Drugs and Psychotropic Substances Act (1985) court)। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মথুরার (Mathura) পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া গাঁজা হাইওয়ে সংলগ্ন থানার গুদামে মজুত রাখা হয়েছিল। কিন্তু তার বিন্দুমাত্রও আর অবশিষ্ট নেই। সব খেয়ে সাবাড় করে দিয়েছে ইঁদুরের দল।
সম্প্রতি পুলিশের কাছে উদ্ধার হওয়া গাঁজার হদিশ চায় আদালত। তার জবাবে মথুরা পুলিশ জানিয়েছে, মোট ৫৮১ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। বাজরার বস্তায় ভরে মজুত করে রাখা হয়েছিল শেরগড় এবং হাইওয়ে থানার গুদামে। কিন্তু কিছুই বেঁচে নেই। সব চলে গিয়েছে ইঁদুরের পেটে।
আগেও পুলিশের কুখ্যাত তালিকায় নাম উঠে এসেছে ইঁদুরের দলের। তাই সবার আগে পুলিশকে ইঁদুরের উৎপাত বন্ধ করার নির্দেশ দেন বিচারক। তবে শুধু তা করলেই হবে না, ইঁদুর গাঁজা খেয়ে সাবাড় করে দিয়েছে, তার প্রমাণও জমা দিতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি, পাঁচ ধরনের বিধি বেঁধে দিয়েছে আদালত, যার আওতায়, পুলিশের গুজামে মজুত গাঁজা যাতে নিলাম বা নষ্ট করা যায়, তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করলে কড়া পদক্ষেপও করা হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।
আরও পড়ুন: Manoj Tiwari: জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ চেয়েছিলেন, ৫১ বছরে ফের বাবা হচ্ছেন ‘রিঙ্কিয়া কে পাপা’
সরকারি কৌঁসুলি রণবীর বলেন, "শেরগড়ে থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক জানিয়েছেন, গুদামে মজুত ৫৮১ কেজি গাঁজা ইঁদুর সাবাড় করে দিয়েছে। ইঁদুরের উৎপাত রুখতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। গুদামঘরের আশপাশ থেকে কিছুতেই তাদের ঘোরাঘুরি বন্ধ করা যাচ্ছে না। অসহায় বোধ করছে পুলিশ। ২৬ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি। তার আগে ইঁদুরের গাঁজা খাওয়ার প্রমাণ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।"
যে মামলায় আদালতে এমন দাবি করেছে মথুরা পুলিশ, তা পাচারকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া গাঁজার। বছরের গোড়াতেই তা নিয়ে শুনানি শুরু হয়। সেই সময় পুলিশ প্রথমে জানায়, ১৯৫ কেজি গাঁজা ইঁদুর খেয়ে নিয়েছে। মে মাসে জটওয়াড়ি গ্রামের কাছে হাইওয়েতে একটি গাড়ি থেকে আরও ৩৮৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। তাও ইঁদুরের পেটেই গিয়েছে। ধৃতরা জেলে রয়েছে, কিন্তু গাঁজা অবশিষ্ট নেই।
গাঁজা, মদ, টাকা উধাও, বন্যায় বার বার কাঠগড়ায় ইঁদুর
এর আগে, বেআইনি মদের কারবার মামলায় উত্তরপ্রদেশেরই বরেলীর পুলিশ ইঁদুরের দলকে কাঠগড়ায় তোলে। ১০০০ লিটার মদ ইঁদুর গিলে নিয়েছে বলে দাবি করে পুলিশ। মদ নিষিদ্ধ হওয়া 'শুষ্ক' বিহারেও একটি মামলায় ইঁদুরের দলকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। এমনকি বন্যার জন্যও ইঁদুরকে দায়ী করা হয়। অসমে এটিএম থেকে টাকা উধাওয়ের ঘটনাতেও অভিযুক্ত হিসেবে তুলে ধরা হয় ইঁদুরের দলকে।