Uttarkashi Cloudburst : রাক্ষুসে বান গিলে খেয়েছে গোটা গ্রাম, ধ্বংসের গ্রাসে বহু, বন্ধ হল কুুলু-মানালির রাস্তা, কেদারযাত্রা
এখনও পর্যন্ত খাতায় কলমে মৃতের সংখ্যা ৪। নিখোঁজ শতাধিক। প্রকৃতির তাণ্ডবের কাছে ফের ক্ষুদ্র-তুচ্ছ হয়ে গিয়েছে মানুষের শক্তি।

মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে তছনছ হয়ে গিয়েছে বসতি। খেলনা-বাড়ির মতো ধসে পড়েছে একের পর এক বহুতল থেকে ছোট বাড়ি। যাত্রী সহ গাড়ি ভাসে গিয়েছে জলে। আগ্রাসী ওই জলের তোড়ে কত মানুষ যে কোথায় ছিটকে গিয়েছেন, তার হিসেব নেই। মৃত্যুর সংখ্যা গোনা সবে শুরু । তাই হয়ত এখনও পর্যন্ত খাতায় কলমে মৃতের সংখ্যা ৪। নিখোঁজ শতাধিক। প্রকৃতির তাণ্ডবের কাছে ফের ক্ষুদ্র-তুচ্ছ হয়ে গিয়েছে মানুষের শক্তি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রায় সাড়ে বারো হাজার ফুট ওপর থেকে প্রায় ৪৫ কিমি বেগে উত্তরাখণ্ডের এই গ্রামের ওপর নেমে আসে হড়পা বান। বিশাল বিশাল পাথরের আঘাত আর জল-কাদা- স্রোতে ২৫-থেকে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই প্রায় মৃত্যুপুরী হয়ে ওঠে উত্তরকাশীর ধরালী গ্রাম।
মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যয় যা ঘটার তো ঘটেই গিয়েছে, এখন যেন ধ্বংসস্তূপ ওই গ্রাম। প্রবল বৃষ্টিপাত চলছে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে। হড়পা বানে ধরালী গ্রামে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। নিখোঁজ বহু। জলের তোড়ে ভেঙে, ধুয়ে-মুছে গেছে ৪০ থেকে ৫০টা বাড়ি। ধরালী বাজারের একটা বড় অংশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধরালীর কাছে ভাটওয়াড়িতে প্রায় দেড়শো মিটার রাস্তা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। রাস্তা মেরামতে ব্যস্ত ITBP. গোটা ক্ষীরগঙ্গা গ্রামটাই হড়পা বানে ভেসে গেছে।
ধ্বংসস্তূপ থেকে মানুষজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। NDRF, SDRF-এর সঙ্গে উদ্ধারকাজে নেমেছে সেনাবাহিনী। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে উত্তরকাশীর সুখি টপ ও হর্ষিলেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৯ জন নিখোঁজ। ২ সেনা-সহ ১৩০ জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার MI-17 হেলিকপ্টার।
উত্তরাখণ্ডে তীব্র বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে বেশ কয়েকটি জেলায় অবিরাম বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রুদ্রপ্রয়াগে, রাতভর অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে অলকানন্দা নদী বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। পরিস্থিতি সংকটজনক হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাময়িকভাবে কেদারনাথ যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে । মান্ডি ও কুলুর মধ্যবর্তী অংশে ভারী বৃষ্টিপাত এবং একাধিক ভূমিধসের ফলে বন্ধ চণ্ডীগড়-মানালি জাতীয় সড়ক। আরও পূর্বে, বাগেশ্বরে অবিরাম বৃষ্টিপাত হচ্ছে, গোমতী এবং সরযূ নদীই উভয়ই উত্তাল। ক্রমবর্ধমান বন্যার উদ্বেগের মধ্যে কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতির উপর নিবিড় নজর রাখছে। কোটদ্বার এবং আশেপাশের পাহাড়ি এলাকায়, মধ্যরাত থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে, যার ফলে ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। জেলা প্রশাসনগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে দুর্যোগ মোকাবিলা দলগুলি ।






















