Edible Oil Price: সত্যি ! ভোজ্য তেলের দাম কমেছে ৫ থেকে ২০ টাকা, বলছে সরকার
Vegetable Oil Price Cut: নিত্যদিন রান্নার তেলের খরচে নাভিশ্বাস উঠছিল সাধারণ মানুষের। কেন্দ্রের উদ্যোগে এবার লিটারে ৫ থেকে ২০ টাকা কমল তেলের দাম। মূলত, সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতেই এই উদ্যোগ।
Vegetable Oil Price Cut: খুচরা বাজারে খাওয়ার তেলের দাম লিটারে ৫ থেকে ২০ টাকা কমানো হয়েছে। আদানি উইলমার ও রুচি সোয়ার মতো বড় কোম্পানিগুলি প্রতি এই দাম কমিয়েছে। যার কারণে ভোজ্য তেলের দাম কমেছে বাজারে। তবে শুধু এই কোম্পানিগুলিই নয়, জেমিনি এডিবলস অ্যান্ড ফ্যাট ইন্ডিয়া, হায়দ্রাবাদ, মোদি ন্যাচারালস, দিল্লি, গোকুল রি-ফয়েল অ্যান্ড সলভেন্ট, বিজয় সলভেক্স, গোকুল এগ্রো রিসোর্সেস ও এনকে প্রোটিনও এই দাম কমিয়েছে। অন্তত তেমনই দাবি করেছে উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক (Ministry of Consumer Affairs)।
Edible Oil Price: দাম কমেছে বলছে সরকার
সরকারের দাবি আগের বছরের থেকে এখন ভোজ্য তেলের খুচরো দাম কমার প্রবণতা শুরু হয়েছে। গত অক্টোবর মাস থেকে এই দাম কমছে। ১৬৭টি প্রাইস কালেকশন কেন্দ্রের পরিসংখ্যান জেনেই এই কথা বলছে সরকার। কেন্দ্রের বক্তব্য, সারা দেশে ভোজ্য তেলের খুচরা বাজারে মূল্য কেজি প্রতি ৫-২০ টাকা কমেছে। উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের তথ্য বলছে, মঙ্গলবার সারা ভারতে বাদাম তেলের গড় খুচরা মূল্য ছিল প্রতি কেজি ১৮০ টাকা। সেখানে সরষের তেলের দাম ছিল প্রতি লিটারে ১৮৪.৫৯ টাকা। সয়া তেলের দাম হয়েছে ১৪৮,৮৫ টাকা। সূর্যমুখী তেল ১৬২.৪ টাকা ছাড়াও প্রতি কেজি পাম অয়েলের দাম হয়েছে ১২৮.৫ টাকা।
Vegetable Oil Price Cut: দাম কমাতে সরকারের পদক্ষেপ
খাওয়ার তেলের দাম কামানো নিয়ে সরকারের বক্তব্য, আন্তর্জাতিক বাজারে বেশি দাম থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে ভোজ্য তেলের দাম কমিয়ে আনা হয়েছে। ভোজ্যতেলের দাম এক বছর আগে বেশি হলেও অক্টোবর থেকে কমছে। এই ক্ষেত্রে সরকারি পদক্ষেপ যেমন, আমদানি শুল্ক হ্রাস, মজুদ রোধ, স্টকের সীমা নির্ধারণ করে দেওয়ার ফলে সব খাওয়ার তেলের দাম কমেছে। যা শেষপর্যন্ত ক্রেতাদের স্বস্তি দিয়েছে। সরকারের মতে, ভোজ্যতেল আমদানির ওপর নির্ভরশীলতার কারণেই এই ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছিল। সেই কারণে এবার দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
Vegetable Oil Price : আমদানির উপর নির্ভরশীলতা
ভারত ভোজ্য তেলের বৃহত্তম আমদানিকারকদের মধ্যে একটি দেশ। দেশের অভ্যন্তরীণ খাওয়ার তেলের উৎপাদন দেশবাসীর চাহিদা মেটাতে অক্ষম। তাই ভোজ্যতেলের প্রায় ৫৬-৬০ শতাংশ আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের তথ্য বলছে, বিশ্বে উৎপাদন হ্রাস ও রফতানিকারক দেশগুলির কর বৃদ্ধির কারণেই ভোজ্যতেলের আন্তর্জাতিক দাম বেড়েছে। যেহেতেু আমদানি করা তেলের দামের উপর ভিত্তি করেই দেশে ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ হয়, তাই দেশেও তার প্রভাব পড়ে।