Viksit Bharat Sankalp Yatra: মোদির বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা, জন ঔষধি কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ
Jan Aushadhi Centres: প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সাধারণ মানুষের কাছে কম খরচে ভাল ওষুধ পৌঁছে দিতে পারাই হল সবচেয়ে বড় সেবা। এই সমস্ত কেন্দ্রের মাধ্যমে কীভাবে ওষুধের খরচ কমেছে সেকথাও বলেছেন তিনি।
Viksit Bharat Sankalp Yatra: শুরু হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা (Viksit Bharat Sankalp Yatra)। বৃহস্পতিবার ৩০ নভেম্বর সেখানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। কেন্দ্রীয় সরকারের কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের সঙ্গে মত বিনিময়ে যুক্ত হয়েছিলেন। এই অনুষ্ঠানেই দেশে জন ঔষধি কেন্দ্রের (Jan Aushadhi Centres) সংখ্যা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ১০ হাজার থেকে বাড়িয়ে এই জন ঔষধি কেন্দ্রের সংখ্যা ২৫ হাজার করা হবে এবং সেই প্রসঙ্গে একটি কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন নতুন জন ঔষধি কেন্দ্র তৈরির করা বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারের এইসব জন ঔষধি কেন্দ্রে মূলত সস্তায় ওষুধ পাওয়া যায়, যা সাধারণ মানুষ সহজে কিনতে পারেন। এদিনের ভার্চুয়াল সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সাধারণ মানুষের কাছে কম খরচে ভাল ওষুধ পৌঁছে দিতে পারাই হল সবচেয়ে বড় সেবা। এই সমস্ত কেন্দ্রের মাধ্যমে কীভাবে ওষুধের খরচ কমেছে সেকথাও বলেছেন তিনি। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ১০ হাজারতম জন ঔষধি কেন্দ্র দেওঘর এইমসে তৈরি করার কথাও ঘোষণা করেছেন।
আজকের ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রচুর মানুষ। সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সক্রিয় ভাবে এই যাত্রায় অংশ নেওয়ার কথা আগেই বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সকলকে জন ঔষধি কেন্দ্র সম্পর্কে জানার অনুরোধও জানিয়েছেন তিনি। এর পাশাপাশি বলেছেন, সস্তায় ভাল ওষুধের পরিষেবা দিতে পারাই সবচেয়ে বড় সেবা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আগে ওষুধের পিছনে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হলে এখন সেটা ২ থেকে ৩ হাজারে নেমে এসেছে। অতএব সাশ্রয়ের পরিমাণ বেড়েছে। তিনি এও জানিয়েছেন যে এই বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রার মূল লক্ষ্য হল যাঁরা কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পান, তাঁদের অভিজ্ঞতা জেনে নেওয়া। আরও মানুষের কাছে এই প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন 'প্রধানমন্ত্রী মহিলা কিষাণ ড্রোন সেন্টার'- এর উদ্বোধনও করেছেন নরেন্দ্র মোদি
এইসব সেন্টারের মাধ্যমে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে ড্রোন। অর্থাৎ প্রযুক্তির মাধ্যমে ওইসব গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের জীবিকা সহায়তা সম্ভব হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে অন্তত ১৫ হাজার ড্রোন পৌঁছে দেওয়া হবে বিভিন্ন মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাছে। মহিলাদের ড্রোন চালানো এবং তা ব্যবহারের উপযুক্ত প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। এর ফলে কৃষিতে প্রযুক্তির ভালভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন- বাদ নেই ‘ড্রাই স্টেট’ গুজরাতও, ৫ বছরে মদ্যপান পরীক্ষায় ব্যর্থ ৯৯৫ ট্রেনচালক