Missing Women:'১৯ থেকে '২১ সাল পর্যন্ত দেশে নিখোঁজ মহিলাদের সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ, খবর পিটিআই সূত্রে
NCRB Data:২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশে নিখোঁজ ১৩ লক্ষের বেশি মহিলা, খবর পিটিআই সূত্রে। এই মাপকাঠিতে শীর্ষে মধ্যপ্রদেশ, তার পরেই রয়েছে বাংলা, দাবি পিটিআইয়ের।
নয়াদিল্লি: ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত দেশে নিখোঁজ ১৩ লক্ষের বেশি মহিলা (Missing Women), খবর পিটিআই সূত্রে। এই মাপকাঠিতে শীর্ষে মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh), তার পরেই রয়েছে বাংলা, দাবি পিটিআইয়ের (PTI)। বাংলার ১ লক্ষ ৯৩ হাজার ৫১১ জন মহিলা নিখোঁজ যাঁদের মধ্যে ৩৬ হাজার ৬০৬ জন নাবালিকা। ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর (NCRB) এই তথ্য সংসদে পেশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করল পিটিআই। ঘটনাচক্রে, এমন সময়ই পশ্চিমবঙ্গের এই তথ্য় সামনে এল যখন বঙ্গে নারী নির্যাতনের অভিযোগে সরব বিজেপি। শুধু তাই নয়। বাংলায় নারী নিরাপত্তাহীনতার প্রসঙ্গ এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছেও তুলে ধরতে চলেছেন বাংলার বিজেপি সাংসদরা। সোমবারই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন তাঁরা।
আর কী জানা গেল?
পিটিআই সূত্রে খবর, এনসিআরবি-র যে তথ্য সংসদে পেশ করা হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে মধ্যপ্রদেশে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১ লক্ষ ৬০ হাজারেরও বেশি মহিলা নিখোঁজ হয়ে যান। নাবালিকাদের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা ৩৮ হাজার ২৩৪। তালিকায় এর ঠিক পরেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। তৃতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র। এনসিআরবি-র পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ওই তিন বছরের মেয়াদে পশ্চিম ভারতের এই রাজ্য থেকে নিখোঁজ হয়েছেন ১ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪০০ জন মহিলা। নিখোঁজ নাবালিকার সংখ্যা ১৩ হাজারের কিছু বেশি। এর পরেই রয়েছে ওড়িশা এবং ছত্তীসগড়। এ তো গেল রাজ্যওয়াড়ি পরিসংখ্যান। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির নিরিখে নিখোঁজ মহিলার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি দিল্লিতে। ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সেখানে হাজারের উপর মহিলা নিখোঁজ হয়ে যান বলে এনসিআরবি-র পরিসংখ্যান বলছে। বেপাত্তা নাবালিকার সংখ্যা এখানে নিখোঁজ প্রাপ্তবয়স্ক মহিলাদের তুলনায় অনেকটাই বেশি। একই মেয়াদে দিল্লিতে অন্তত ২৩ হাজার নাবালিকা নিখোঁজ হয়েছে, জানাচ্ছে এনসিআরবি। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তালিকায় এই ব্যাপারে এর পরেই রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর।
সরকারের প্রতিক্রিয়া...
পিটিআই সূত্রে খবর, সংসদে এই পরিসংখ্যান পেশ করেও কেন্দ্রের দাবি, নারী-নিরাপত্তা বাড়াতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। যৌন অপরাধ কমাতে ২০১৩ সালের সংশোধিত ফৌজদারি আইন বলবৎ করার উপর জোর দেওয়া এই উদ্যোগের অন্যতম। তা ছাড়া, ১২ বছরের কমবয়সি বালিকাদের ধর্ষণের মতো অপরাধেও যাতে মৃত্যুদণ্ডের মতো কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা যায়, সে জন্য ২০১৮ সালের সংশোধিত ফৌজদারি আইন বলবৎ করার ব্যাপারেও কড়া নজর দেওয়া হয়েছে। এই আইনে ধর্ষণের ঘটনায় দুমাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করে চার্জশিট ফাইল এবং তার দুমাসের মধ্যে শুনানি শেষ করা বাধ্যতামূলক। এই উদ্যোগ ঠিক কতটা ফলপ্রসূ হচ্ছে? কী বলবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি?
আরও পড়ুন:বর্ষায় আবারও ডেঙ্গির প্রকোপ, এক শয্যায় দুই রোগী, ভিড় বাড়ছে জেলার হাসপাতালগুলিতেও