Vishwakarma Scheme: স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা, মিলবে ভর্তুকিও, লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা’ প্রকল্প আনল কেন্দ্র
Lok Sabha Elections 2023: 'পিএম বিশ্বকর্মা' প্রকল্পে মোট ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের আগে (Lok Sabha Elections 2024) ফের বড় ঘোষণা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকারের (Narendra Modi)। স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকেই ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। বুধবার সরকারি অনুমোদন মিলল 'প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা' তথা 'পিএম বিশ্বকর্মা' প্রকল্পে (PM Vishwakarma Scheme)। মোদির নেতৃত্বে এদিন মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক কমিটির বৈঠক বসে। সেখানে স্বল্প সুদের এই ঋণ প্রকল্পে অনুমোদন মিলেছে। (Vishwakarma Scheme)
'পিএম বিশ্বকর্মা' প্রকল্পে মোট ১৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী পাঁচ বছর অর্থাৎ ২০২৮ সাল পর্যন্ত আপাতত এই বরাদ্দ। এই প্রকল্পের আওতায় কারুশিল্পী এবং হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত কারিগররা ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। তার জন্য কিছু বন্ধক রাখতে হবে না তাঁদের। সুদের হারেও পাবেন ভর্তুকি। প্রায় ৩০ লক্ষ মানুষ এবং তাঁদের পরিবার এতে উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। মোট ১৮টি হস্ত এবং কারুশিল্পকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর 'পিএম বিশ্বকর্মা' প্রকল্পের ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, "এই প্রকল্পের আওতায় কারু এবং হস্তশিল্পীরা উপকৃত হবেন। পিএম বিশ্বকর্মা শংসাপত্র প্রদান করে স্বীকৃতিও দেওয়া হবে তাঁদের। পাবেন পরিচয়পত্রও। প্রথম পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা অর্থসাহায্য় পাবেন, দ্বিতীয় দফায় সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। ভর্তুকি-সহ সুদের হার পড়বে মাত্র ৫ শতাংশ। এই প্রকল্পে দক্ষতা বাড়বে শিল্পীদের, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কিনতে পারবেন, ডিজিটাল লেনদেনও করতে পারবেন।"
আরও পড়ুন: Post Office: পোস্ট অফিসের স্বল্প সঞ্চয় প্রকল্প, জেনে নিন,কোন স্কিমে কী সুদ ?
এখনও পর্যন্ত যে তথ্য মিলেছে, সেই অনুযায়ী, 'পিএম বিশ্বকর্মা' প্রকল্পের আওতায় নৌকা তৈরি করেন যাঁরা, লোহার কাজ করেন যাঁরা, তালা তৈরি এবং মেরামতির সঙ্গে যুক্ত যাঁরা, এ ছাড়াও স্বর্ণকার, মৃৎশিল্পী, ভাস্করশিল্পী, চর্মশিল্পী, রাজমিস্ত্রিরা সুবিধা পাবেন।
এর পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে 'পিএম-ইবাস সেবা' প্রকল্পেও সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। এই প্রকল্পের আওতায় আরও ১০ হাজার ই-বাস পরিবহণ ক্ষেত্রে যুক্ত করা হবে। আপাতত আগামী ১০ বছরের জন্য এই পরিষেবাপ্রদানের লক্ষ্য রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি জানিয়েছেন, দেশের ১৬৯টি শহরের পরিবহণ ব্যবস্থায় ১০ হাজার ই-বাস সংযুক্ত করা হবে। গ্রিন আরবান মবিলিটি ইনিশিয়েটিভের আওতায় ১৮১টি শহরের পরিকাঠামোর উন্নয়ন করবে সরকার। সবমিলিয়ে ১০ হাজার ই-বাস চালু করতে ৫৭ হাজার ৬১৩ কোটি টাকা খরচ পড়বে। এর মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা দেবে কেন্দ্র। সরকারি এবং বেসরকারি বাস মালিকদের যৌথ উদ্যোগে চালু হবে পরিষেবা। এতে ৪৫০০০ থেকে ৫৫০০০ কর্মসংস্থান হবে বলে আশাবাদী সরকার।