Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলার জঙ্গিদের সাহায্যকারী পেশায় শিক্ষক মহম্মদ ইউসুফ কাটারি আসলে কে?
Pahalgam Terror Attack: গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের কাছে মিনি সুইৎজারল্যান্ড নামে পরিচিত বৈসারন উপত্যকায় নারকীয় হত্যালীলা চালায় জঙ্গিরা।

Pahalgam Attack: পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত জঙ্গিদের সাহায্য করার অভিযোগে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ গ্রেফতার করেছে মহম্মদ ইউসুফ কাটারি নামের এক ব্যক্তিকে। ধৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পহেলগাঁওয়ের বৈসারন উপত্যকায় যে জঙ্গিরা হামলা চালিয়েছিল, তাদের 'লজিস্টিক সাপোর্ট' দিয়েছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলা থেকে গ্রেফতার হয়েছে। গোপন সূত্রে এই ব্যক্তির ওই এলাকায় থাকার খবর আগেই পেয়েছিল পুলিশ। সেই মতোই অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কিন্তু কে এই মহম্মদ ইউসুফ কাটারি
- পেশায় এই ব্যক্তি একজন শিক্ষক। কিন্তু কুলগামে Over Ground Worker হিসেবে কাজ করতেন তিনি।
- পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল বলে পুলিশের অনুমান।
- পুলিশ এও জানিয়েছে, পহেলগাঁও হামলার সঙ্গে যুক্ত জঙ্গিদের লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়েছিলেন এই ব্যক্তি। পরে ওই জঙ্গিদের নিরাপত্তাবাহিনী খতম করে অপারেশন মহাদেবের মাধ্যমে।
- অপারেশন মহাদেবে খতম হওয়া জঙ্গিদের থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রশস্ত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জামের বিশ্লেষণ করার পর মহম্মদ কাটারির খোঁজ শুরু করে পুলিশ।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের কাছে মিনি সুইৎজারল্যান্ড নামে পরিচিত বৈসারন উপত্যকায় নারকীয় হত্যালীলা চালায় জঙ্গিরা। স্থানীয় এক টাট্টু ঘোড়ার চালক-সহ মোট ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এই তালিকায় ছিলে নিরীহ পর্যটকরা। পুরুষ পর্যটকদের মধ্যে বিশেষ করে হিন্দুদের বেছে বেছে নিশানা করে জঙ্গিরা। এই জঙ্গিদের শেষ করতে ২২ মে হয়েছিল অপারেশন মহাদেব। শ্রীনগরের দাচিগ্রামে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পায় নিরাপত্তানাহিনী। শুরু হয় অভিযান। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার তিন মাস্টারমাইন্ড খতম হয় গুলির লড়াইয়ে। তাদের থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্রশত্র। একে-৮৭, এম৯ অ্যাসাল্ট রাইফেল এবং আরও অনেক অস্ত্রশস্ত্রই উদ্ধার হয় তিন জঙ্গির গোপন ডেরা থেকে। চণ্ডীগড়ের ল্যাবে এইসব অস্ত্রশস্ত্র পাঠানো হয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য। রিপোর্টে জানা যায়, পহেলগাঁও হামলায় এইসব অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছিল।
২২ এপ্রিলের পহেলগাঁও হামলার পাল্টা জবাবে বড়সড় রকমের প্রত্যাঘাত করেছে ভারত। ৭ মে হয় অপারেশন সিঁদুর। মধ্য রাতের আধ ঘণ্টা অভিযানে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। এই তালিকায় ছিল হিজবুল মুজাহিদিন, লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-ই-মহম্মদ - এর মতো জঙ্গি সংগঠনের হেডকোয়ার্টার। এরপর পহেলগাঁও হামলার তিন মাস্টারমাইন্ড সুলেমান, আফগানি এবং জিবরানকে খতম করে নিরাপত্তাবাহিনী। ভারতীয় সেনার অপারেশন মহাদেবে নিকেষ করা হয় এই তিন জঙ্গিকে।























