India Covid Cases: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণ ভারত, জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
Covid numbers in South-East Asia: হু-এর তরফে জানান হয়েছে, গত এক সপ্তাহে প্রায় ১৫০ শতাংশ সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে গোটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ।
নয়া দিল্লি: দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় কোভিড-১৯ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে কোভিড সংক্রমণ। আর সেই বৃদ্ধির কারণ ভারত, এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হু-এর তরফে জানান হয়েছে, গত এক সপ্তাহে প্রায় ১৫০ শতাংশ সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে গোটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় । WHO এর মতে, ভারতে ২৩ জানুয়ারির শেষ হওয়া সপ্তাহে প্রায় ১৫ লক্ষ ৯৪ হাজার ১৬০ জন আক্রান্ত হয়েছে। যা আগের সপ্তাহে ৬ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮৭২ জন বেশি আক্রান্ত হয়েছে।
এদিকে, দেশে দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমলেও, এই নিয়ে টানা পাঁচদিন একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষের বেশি। উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সংক্রমণ-হার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৬ হাজার ৬৪ জন।গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৩৩। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪৩৯ জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫২৫। দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৯৫ লক্ষ ৪৩ হাজার ৩২৮ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় ৪ লক্ষ ৮৯ হাজার ৮৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দৈনিক পজিটিভিটি রেট একলাফে বেড়ে হয়েছে ২০.৭৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন, বিশ্বে দ্রুত ছড়াচ্ছে নয়া রূপের 'চোরা ওমিক্রন', RT-PCR টেস্টেও অধরা এই প্রজাতি
এদিকে, পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে, মরক্কো থেকে নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ, লেবাননে ১৯ শতাংশ। এছাড়াও তিউনিশিয়াতেও ১৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন রূপ এখনও বিশ্বের মোট ১৭১টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৫ লক্ষ ৯৫ হাজার ৬৭২ জনের। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ কোটি ৮ লক্ষ ৯০ হাজার ৬৩৫।
তবে শুধু ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন কিংবা ইউরোপ নয়। এবার ওমিক্রন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাশিয়া (Russia)। রবিবার রেকর্ড সংখ্যাক আক্রান্ত হয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশে। এই নিয়ে টানা তিনদিন রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছে। সে দেশের ন্যাশনাল করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্স জানিয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ হাজার ২০৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবারের আক্রান্তের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ বেশি।