World News:'গির্জার দরজা সমকামীদের জন্যও খোলা, তবে নিয়মের মধ্যে', বার্তা পোপ ফ্রান্সিসের
Pope Francis:ক্যাথলিক চার্চের দরজা সমকামীদের জন্যও খোলা, ঘোষণা স্বয়ং ক্যাথলিক জগতের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের। পোপের মতে, তাঁদের ব্যক্তিগত ভাবে আধ্যাত্মিকতার পথে নিয়ে যাওয়া গির্জার দায়িত্ব।
ভ্যাটিকান সিটি: ক্যাথলিক চার্চের (Catholic Church) দরজা সমকামীদের জন্যও খোলা, ঘোষণা স্বয়ং ক্যাথলিক জগতের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের (Pope Francis) । পোপের মতে, তাঁদের ব্যক্তিগত ভাবে আধ্যাত্মিকতার পথে নিয়ে যাওয়া গির্জার দায়িত্ব। তবে সবটাই নিয়মের মধ্যে থেকে করতে হবে, এ কথাও জানাতে ভোলেননি ক্যাথলিক ধর্মগুরু।
গির্জা সকলের জন্য...
পর্তুগাল (Portugal) থেকে হার্নিয়া অপারেশন করিয়ে ফেরানোর পথে রীতি মেনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পোপ ফ্রান্সিস। তখনই এক সাংবাদিক জানতে চান, পর্তুগাল-সফরের সময় পোপের মুখে যে বার বার শোনা গিয়েছিল 'গির্জা সকলের জন্য়, সকলের জন্য, সকলের জন্য', এই কথাটি বাস্তবে কতটা খাঁটি? বিশেষত যখন মহিলা এবং সমকামীরা কিছু 'স্যাক্রামেন্ট'-সহ একাধিক অধিকার পান না, সেখানে এই ধরনের বার্তা কতটা অর্থবহ? এক মহিলাকে 'হোলি অর্ডারস' অনুযায়ী 'যাজক' হতে না দেওয়া এবং এক সমকামী দম্পতির বিয়ে না মানতে চাওয়ার ঘটনার প্রেক্ষিতেই পোপ ফ্রান্সিসকে এই প্রশ্ন করেন সাংবাদিক। জবাবে ৮৬ বছরের ক্যাথলিক ধর্মগুরু বলেন, 'গির্জার দরজা সকলের জন্যই খোলা। তবে গির্জার ভিতর কী হবে, তার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।' পোপের ব্যাখ্যা, 'ওঁরা কিছু স্যাক্রামেন্টের অংশ নন ঠিকই, তার মানে এটা নয় যে গির্জা ওঁদের জন্য বন্ধ। গির্জার ভিতরে প্রত্যেকে নিজের মতো করে ঈশ্বরকে অনুভব করতে পারেন।' একই সঙ্গে তিনি মনে করান, চার্চের 'মিনিস্টারদের' দায়িত্ব প্রত্যেককে, এমনকি যাঁরা নিয়ম মানছেন না তাঁদেরও মাতৃস্নেহ ও ধৈর্যের সঙ্গে গ্রহণ করা।
গির্জার চোখে নারী ও সমকামী দম্পতিদের অধিকার...
চার্চের নিয়ম অনুযায়ী, মহিলারা যাজক হতে পারেন না। কারণ, যিশুক্রিস্ট তাঁর শিষ্য হিসেবে যাঁদের বেছে নিয়েছিলেন তাঁরা প্রত্যেকেই পুরুষ। সমকামী বিবাহেও সিলমোহর দেয় না ক্যাথলিক গির্জা। কিন্তু পোপ ফ্রান্সিস জানালেন, সমকামী দম্পতিরা যাতে পেনশন, স্বাস্থ্যবিমা এবং উত্তরাধিকারের মতো ক্ষেত্রে আইনি স্বীকৃতি পান, সে জন্য দেওয়ানি আইন পাশের পক্ষপাতী তিনি। পোপ হওয়ার পর থেকে ৮৬ বছরের ক্যাথলিক ধর্মগুরু নানা ভাবে গির্জাকে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে তৎপর। একই সঙ্গে সমকামী-উভকামী-রূপান্তরকামীদের প্রতি গির্জার কড়া মনোভাবও নমনীয় করার বার্তা দিতে চান তিনি। তবে গির্জার নিয়ম যাতে না ভাঙে, সে দিকেও নজর রয়েছে পোপ ফ্রান্সিসের। পর্তুগাল-সফরের সময়, ওয়ার্ল্ড ইয়ুথ ডে ক্যাথলিক ফেস্টিভ্যালে এমনই এক বার্তা দিতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। এবার ব্যাখ্যা সহ বিষয়টি তুলে ধরলেন তিনি।