Kashmir Avalanche: দু'দিনে দু'বার তুষারধস সোনমার্গে, বরফের মোটা চাদর এলাকাজুড়ে
Snowclad In Valley:ফের তুষারধস কাশ্মীরে। সাদা চাদরে ঢাকল সোনমার্গ। বৃহস্পতিবারের পর শনিবার। গত কাল এক নির্মাণসংস্থার ব্যারাকের কাছে দৈত্যাকার তুষারধস নামে। ঘাবড়ে যান শ্রমিকরা।
শ্রীনগর: ফের তুষারধস (Avalanche) কাশ্মীরে (kashmir)। সাদা চাদরে ঢাকল সোনমার্গ (sonamarg)। বৃহস্পতিবারের পর শনিবার। গত কাল এক নির্মাণসংস্থার (construction company) ব্যারাকের (barrack) কাছে দৈত্যাকার তুষারধস নামে। ঘাবড়ে যান শ্রমিকরা (worker)। তবে নির্মাণসংস্থার জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, সকলেই সুরক্ষিত রয়েছেন।
কী ঘটেছিল?
যে নির্মাণসংস্থার ব্যারাকের কাছে তুষারধস হয়েছে, সেটি 'জোজিলা সুড়ঙ্গ' তৈরি করছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ জানাচ্ছেন, হঠাৎ দেখেন বরফের এক বিশাল তাল এগিয়ে আসছে। আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। চিৎকার করে সকলে ব্যারাকের ভিতরে ঢুকে পড়েন। পলকের মধ্যে গোটা ব্যারাক মোটা সাদা চাদরে ঢেকে যায়। ভিতরে তখন আতঙ্কিত কর্মীদের ভিড়। এই মুহূর্তে ধসের ধাক্কা না থাকলেও কুয়াশার ঘন আস্তরণে ঢাকা গোটা এলাকা। সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা হাওয়া। বাড়ির ছাদে বরফের পুরু স্তর। আমজনতাকে দরজা খুলতে বারণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার তুষারধস...
গত বৃহস্পতিবারও সোনমার্গে ভয়ঙ্কর তুষারধস নেমেছিল। তাতে মারা যান দুই নির্মাণ শ্রমিক। সেই সংক্রান্ত একটি ভিডিও অনলাইনে শেয়ারও করা হয়। এবিপি আনন্দ সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। তবে সম্ভবত সোনমার্গের বালতাল এলাকায় ভিডিওটি তোলা হয়েছিল। বস্তুত, সেদিনের পরও তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছিলেন আবহবিদেরা। শুক্রবার যে কাশ্মীরের অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকায় ভারী তুষারপাত হতে পারে, সে পূর্বাভাস দেওয়াই ছিল। শনিবারও উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার জন্য 'ভারী বিপদের' পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছিল রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। আর 'মাঝারি বিপদের' পূর্বাভাস ছিল বান্দাপোরা, বারামুলা, গান্দেরবাল, কিশতওয়ার, পুঞ্চ, রামবান এবং রিয়াসি জেলায়। আর অল্প তীব্রতার তুষারধস হওয়ার পূর্বাভাস ছিল অনন্তনাগ, কুলগাম এবং রাজৌরি জেলায়। তবে সোনমার্গে তুষারধস নামার পর জন্মু ও কাশ্মীর পুলিশের তরফেও জানানো হয় যে, কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর যে পরিস্থিতি নজরে রাখছে, সে কথাও জানায় পুলিশ। প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে 'চিল্লাই কালান'-র প্রভাব রয়েছে ভূস্বর্গে। মূলত চল্লিশ দিনের এই মেয়াদে তুষারপাতের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। ফলে বিপদের সম্ভাবনাও চূড়ান্ত। এদিকে শনিবার কাশ্মীরজুড়েই নানা প্রান্তে তুষারপাতের জেরে উড়ান পরিষেবা ধাক্কা খেয়েছে। শুক্রবার এর ফলে দেশের বাকি অংশ থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় উপত্যকার বড় অংশ। ঘটনাচক্রে সেদিনই বিপুল বৃষ্টিও হয়েছিল।
আরও পড়ুন:মন্ত্রীর সামনেই অভিযোগকারীকে সপাটে চড়, দিদির দূত কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার