Crime News : স্বামীকে মেরে টুকরো করে গঙ্গায়, বাকি দেহাংশ...পরকীয়া চালাতে শিউরে ওঠা কাণ্ড
পরিকল্পনা ছিল নিজেদের প্রেমের পথ পরিষ্কার রাখতে কাঁটা সরিয়ে ফেলার। তার জন্যই দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়। কিন্তু পুরো ছকের মাঝে হয়ে গিয়েছিল একটি 'মহাভুল'।

নয়াদিল্লি : এ যেন মেরঠ কাণ্ডের ছায়া। ফের উত্তরপ্রদেশ। ফের মহিলা ও তার প্রেমিকের ষড়যন্ত্রের শিকার তার স্বামী। গা শিউরে ওঠা পরিণতি। ন্যক্কারজনক ঘটনা। সম্ভাল জেলায় থেকে এক মহিলা ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পরিকল্পনা ছিল নিজেদের প্রেমের পথ পরিষ্কার রাখতে কাঁটা সরিয়ে ফেলার। তার জন্যই দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলা হয়। কিন্তু পুরো ছকের মাঝে হয়ে গিয়েছিল একটি 'মহাভুল'। আর তাতেই সব অপরাধ ফাঁস হয়ে যায় পুলিশের কাছে। ঘটনাটি বুঝতে ফিরে যেতে হবে, দিন কয়েক আগে। গত ১৫ ডিসেম্বর পুলিশ পাত্রোয়া রোডের একটি ঈদগাহের পেছন থেকে একটি কালো ব্যাগ উদ্ধার করে। ভেতরে ছিল একটি পচে যাওয়া দেহ। মাথা এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সবকটি ছিলও না। তদন্তকারীরা প্রথমে বুঝতেই পারেনি , এ দেহ কার! পুলিশ সূত্রে খবর, ওই পচা গলা দেহ পরীক্ষা করেই মেলে সূত্র। পুলিশ ওই দেহের হাতে একটি ট্যাটু দেখতে পায়, তাতে লেখা ছিল "রাহুল"। এটিই ছিল এই কেসের বড় সূত্র। তারপর পুলিশ তখনই নিখোঁজ ব্যক্তিদের রেকর্ড পরীক্ষা করে। দেখা যায়,২৪ নভেম্বর রাহুল নামে এক ব্যক্তির নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগটি করেছেন তাঁর স্ত্রী । তখন রুবিকে দেহ শনাক্তকরণের জন্য থানায় ডেকে পাঠানো হয়। বিকৃত দেহ, উদ্ধার হওয়া পোশাক দেখানো হয়। তখন তিনি স্পষ্ট বলে দেন, এ দেহ তাঁর স্বামীর নয়। তবুও বক্তব্যে অসঙ্গতি এবং জিজ্ঞাসাবাদের সময় অস্বস্তি দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়।
এরপর পুলিশ রুবির মোবাইল ফোন পরীক্ষা করলে তদন্তটি এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় নেয়। তার ফটো গ্যালারি পরীক্ষা করে রুবির সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তির পরনের পোশাকের সঙ্গে মৃতদেহে থাকা পোশাকের মিল পায়।এরপর আরও চেপে ধরে পুলিশ। তখন তিনি ভেঙে পড়েন জিজ্ঞাসাবাদের সামনে এবং অপরাধ স্বীকার করে নেন। জানান, গৌরব নামে কারও সাথে তার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।
রুবি পুলিশকে জানান, ১৭-১৮ নভেম্বর রাতে, সে গৌরবকে তার বাড়িতে ডাকে। রাত ২টা নাগাদ, তাঁর স্বামী রাহুল হঠাৎ করে বাড়ি ফিরে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান। ঝগড়া শুরু হয়, এই সময় রুবি ভারী কিছু দিয়ে রাহুলের মাথায় আঘাত করে এবং ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
তখন অপরাধ গোপন করার জন্য, রুবি এবং গৌরব মৃতদেহটি নষ্ট করার একটি পরিকল্পনা তৈরি করে। পরের দিন, গৌরব একটি কাটার মেশিন নিয়ে এসে রুবির স্বামীর দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তরা রাহুলের মাথা এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ একটি ব্যাগে ভরে চান্দৌসি থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে রাজঘাটের কাছে গঙ্গায় ফেলে দেয়। ধড়টি অন্য একটি ব্যাগে ভরে পাত্রোয়া রোড এলাকার ঈদগাহের পিছনে ফেলে দেওয়া হয়।






















