Turkey-Syria Earthquake: বাতাসে শবের ঘ্রাণ, ৫০ হাজারের কোটা পার, খড়কুটো আঁকড়ে ফের উঠে দাঁড়াচ্ছে তুরস্ক
Rebuilding Turkey: বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্য়া ইতিমধ্যেই ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর মধ্য়ে শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত তুরস্কের মৃতের সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ২১৮।
আঙ্কারা: মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিল যা কিছু, আজ সব ধূলিসাৎ। সেই ধুলো ঝেড়েই মাটি খোঁজার চেষ্টা শুরু। ভূমিকম্পের তিন সপ্তাহ পর সেখানে ফের উঠে দাঁড়ানোর কাজ শুরু হল তুরস্কে (Turkey-Syria Earthquake)। তবে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নয়া অট্টালিকা দাঁড় করালেও, ভয়াবহতার মেঘ এত শীঘ্র কাটবে না বলে মনে করছেন দেশের নাগরিকরা। হারানোর সেই যন্ত্রণা বুকে চেপেই তুরস্কে ফের নগরের পত্তন শুরু হল (Rebuilding Turkey)।
হারানোর যন্ত্রণা বুকে চেপেই তুরস্কে ফের নগরের পত্তন শুরু হল
বিধ্বংসী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্য়া ইতিমধ্যেই ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর মধ্য়ে শুক্রবার সন্ধে পর্যন্ত তুরস্কের মৃতের সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ২১৮। ৫ হাজার ৯১৪ জন মারা গিয়েছেন সিরিয়ায়। দুই দেশ মিলিয়ে ১ লক্ষ ৬০ হাজারের বেশি নির্মাণ ভেঙে পড়েছে, যার মধ্যে ছিল ৫ লক্ষ ২০ হাজারের বেশি ফ্ল্যাট। তুরস্কের বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগ এই পরিসংখ্যান সামনে এনেছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি পর পর তিন বার বিধ্বংসী ভূমিকম্প এবং তার পর থেকে লাগাতার, অজস্র আফটারশকে বিধ্বস্ত তুরস্ক। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আপাতত তিন মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তইপ আর্দোয়ান। আগামী এক বছরের মধ্যে ভেঙে পড়া সব বাড়ি ফের তৈরি করে দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও, নির্বাচনের কয়েক মাস বাকি থাকতে আর্দোয়ান টোপ দিচ্ছেন বলে মত বিরোধীদের।
ধ্বংসবশেষের ওজন ১১ কোটি ৬০ লক্ষ থেকে ২১ কোটি টন হতে পারে
প্রথম পর্যায়ে ২ লক্ষ নির্মাণ গড়ে তোলার লক্ষ্য রয়েছে আর্দোয়ান সরকারের। গ্রামে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে ৭০ হাজার। তাতে খরচ পড়বে, ২৫০০ কোটি পাউন্ড। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ এই মুহূর্তে গৃহহীন তুরস্কে। তাঁদের জন্য কমপক্ষে ৫ লক্ষ বাড়ি প্রয়োজন। ভূমিকম্পের ধ্বংসবশেষের ওজন ১১ কোটি ৬০ লক্ষ থেকে ২১ কোটি টন হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আর এই পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সমালোচনা হচ্ছে আর্দোয়ান সরকারের ভূমিকা নিয়ে। ভূমিকম্পের পর যথা সময়ে সাহায্য় পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এমনকি ভূমিকম্প পরিস্থিতি নিয়ে খবর করায় মীর আলি কোসের নামের এক সাংবাদিককে আটক করা হয় বলে অভিয়োগ। ক্য়ামেরা এবং মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বেরিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের যন্ত্রণা ট্যুইটারে তুলে ধরেছিলেন তিনি। তিনি ভুয়ো খবর ছড়িয়েছেন বলে অভিযোগ প্রশাসনের। তাঁকে নিয়ে চার সাংবাদিককে গ্রেফতার করা হয়েছে।