ভারতের পর পাকিস্তানের জঙ্গি-ঘাঁটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর হুঁশিয়ারি ইরানের
নয়াদিল্লি: ভারতের পর এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে গজিয়ে ওঠা জঙ্গি ঘাঁটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিল ইরান।
সোমবার ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মহম্মদ বাকেরি জানান, ইসলামাবাদ প্রশাসন যদি সীমান্তপার সন্ত্রাস চালানো জঙ্গিদের মোকাবিলা না করে, তাহলে পাকিস্তানে গজিয়ে ওঠা জঙ্গি ‘বিচরণভূমিতে’ হামলা চালাতে বাধ্য হবে তেহরান।
তিনি বলেন, এই পরিস্থিতির (পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিদের ক্রমাগত সীমান্তপার হামলা) বাড়বাড়ন্ত আমরা মেনে নেব না। আমরা আশা করি পাক প্রশাসন তাদের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ করবে, জঙ্গিদের গ্রেফতার করবে ও তাদের ঘাঁটিগুলিকে ধ্বংস করবে।
গতমাসে পাক জঙ্গি হামলায় ইরানের ১০ বর্ডার গার্ডের মৃত্যু হয়। বাকেরির দাবি, পাক সীমান্তের ভেতর থেকে লং-রেঞ্জ বন্দুক দিয়ে ওই ১০ রক্ষীকে হত্যা করে জয়েশ-ই-আদল এর জঙ্গিরা। এরপরই পাকিস্তানের জঙ্গি-ঘাঁটিগুলিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর পাল্টা হুঁশিয়ারি দিল ইরান।
প্রসঙ্গত, বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন ও মাদক-পাচার চক্রের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই উত্তপ্ত পাকিস্তান-ইরান সীমান্ত। বাকেরির হুঁশিয়ারি, এধরনের জঙ্গি হামলা চলতে থাকলে আমরা ওদের (জঙ্গিদের) ঘাঁটি চিহ্নিত করে পাল্টা হামলা চালাব।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ জাভাদ জরিফ। সেখানে সীমান্ত নিরাপত্তা উন্নত করতে পাক প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি জানান তিনি। যার প্রেক্ষিতে সীমান্তে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার আশ্বাস দেন শরিফ।
এই প্রথম ইরান এমন হুমকি দিল তা নয়। ২০১৪ সালে, এই জঙ্গিগোষ্ঠীর হাতেই ইরানের পাঁচ বর্ডার গার্ড অপহৃত হন। ইরান জানিয়েছিল, তাদের সেনা পাকিস্তানে ঢুকে রক্ষীদের ছাড়িয়ে আনবে।
পাকিস্তান পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানায়, ইরানের বাহিনী যদি সীমান্ত পেরিয়ে ভেতরে ঢোকে, তাহলে তা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হবে। সেই সময়ে এক স্থানীয় ধর্মপ্রচারকের মধ্যস্থতায় বিষয়টির নিষ্পত্তি হয়।