C.1.2 New Strain Of Coronavirus : করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট C.1.2, এর উপর কতটা কাজ করবে ভ্যাকসিন ?
গবেষণায় উঠে এসেছে, করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট বছরে ৪০ থেকে ৫০ বার মিউটেট করার ক্ষমতা আছে।একইসঙ্গে দেখা যাচ্ছে, এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও বেশি।
ঝিলম করঞ্জাই ও বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: ডেল্টা (Delta), ডেল্টা প্লাসের (Delta Plus) পর...এবার করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ পাওয়া গেল। নাম C.1.2। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ ছিল ডেল্টা স্ট্রেন!! এবার উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকার পাশাপাশি ইংল্যান্ড, চিন, কঙ্গো-সহ আটটি দেশে করোনার এই নতুন প্রজাতির হদিশ পাওয়া গেছে। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (BMC ) একটি নিয়ম জারি করে বলেছে, ৩ সেপ্টেম্বর থেকে অন্যদেশ থেকে আসা যাত্রীদের মুম্বই বিমানবন্দরে নেমেই আরটিপিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে।
দক্ষিণ অফ্রিকার একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণা করেছে ভারতের ন্যাশনাল ইন্সস্টিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিসেস বা NICD। গবেষণায় উঠে এসেছে, করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট বছরে ৪০ থেকে ৫০ বার মিউটেট করার ক্ষমতা আছে।একইসঙ্গে দেখা যাচ্ছে, এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও বেশি। প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে, এই ভ্যারিয়েন্টকে ঠেকাতে ভ্যাকসিন কাজ করছে না !!
আরও পড়ুন - ভ্যাকসিনেশন কি থার্ড ওয়েভ থেকে বাঁচাবে? হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হল কি? উত্তর দিলেন ডা. দীপ্তেন্দ্র সরকার
বৃহস্পতিবার একদিনে ভারতে করোনা আক্রান্ত ৪৭ হাজারের বেশি। গত দু’মাসের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। গত সাতদিন ধরে দেশে প্রতিদিন গড়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার। তাহলে কি দ্রুত আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ?
আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। ভারতে এ’নিয়ে নজরদারি শুরু হয়েছে। তবে, এখনও ভারতে এই নতুন ভ্যারিয়ান্টের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিক্যাল রিসার্চে প্রকাশিত ICMR’র গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউ ভারতে দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো ভয়াবহ হবে না। তবে, বেশি সংক্রমক বা ভ্যাকসিন কার্যকর নয় এরকম স্টেন আসলে পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, নতুন এই ভ্যারিয়ান্টে সেই আশঙ্কাই তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যেই নতুন এই স্ট্রেন নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরই মধ্যে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে দেশের তরফে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ জানান, ৩১ অগাস্ট একটি নতুন নির্দেসিকা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা, চিন, বাংলাদেশ, জিম্বাবোয়ে ইত্যাদি দেশ থেকে আসা যাত্রীদের এদেশে আসার বিমানে ওঠার আগে করোনা নেগেটিভ আরটিপিসিআর (RTPCR) রিপোর্ট প্রয়োজন। এরপর দেশের মাটিতে পা রেখে আবারও RTPCR করাতে হবে।
ডিজি, ICMR বলরাম ভার্গব জানান, কলম্বিয়ায় যে নতুন মিউট্যান্ট পাওয়া গিয়েছে, তার প্রভাব ভারতে এখনও পর্যন্ত তেমন ভাবে লক্ষিত হয়নি। কো-উইনের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারতের ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ পেয়েছেন মাত্র ১৬.৩৮ শতাংশ। এরই মধ্যে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ফের উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে।