Pani Puri Ban in Nepal: কলেরার জেরে কোপ ফুচকায়, নিষেধাজ্ঞা নেপালে
Cholera infection in Nepal: বাড়ছে কলেরা-সংক্ররমণ। পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরোনোর আগেই ফুচকা বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল নেপালের ললিতপুর মেট্রোপলিটন সিটি প্রশাসন।
কাঠমাণ্ডু: নিদেনপক্ষে বারো জনের দেহে এর মধ্যেই কলেরার (Cholera) সংক্রমণ মিলেছে। এর পর কি আর ঝুঁকি নেওয়া যায়? পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরোনোর আগেই তাই ফুচকা (Pani Puri)বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল নেপালের (Nepal)কাঠমান্ডু উপত্যকার ললিতপুর মেট্রোপলিটন সিটি প্রশাসন।
কেন 'কোপে' ফুচকা:
শহরের কোথাও ফুচকা বিক্রি করা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে ফুচকার যে কোনও ধরনের বিলি-বন্দোবস্তেও। জিভে জল আনা খাবারের উপর এমন কোপ কেন? প্রশাসনের দাবি, যে জল ছাড়া ফুচকার অনেকের কাছেই বিস্বাদ, তাতেই কলেরার ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গিয়েছে। অতএব সব কিছুতে নিষেধাজ্ঞা জারি।
নির্দেশ অনুযায়ী যাতে কাজ হয় সে জন্য অন্তর্বর্তী সব রকম প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে শহরে। জনবহুল এলাকা থেকে করিডোর এরিয়া, সর্বত্র ফুচকা বিক্রি বন্ধে কড়া তোড়জোড় চলছে। যে কোনও লক্ষ্যে কলেরা সংক্রমণ আটকানোই এখন পাখির চোখ ললিতপুর মেট্রোপলিটন সিটি প্রশাসনের।
তৎপর সরকার:
যাঁরা এর মধ্যেই কলেরা-আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসায় কোনও ত্রুটি রাখছে না নেপাল সরকার। দুজনকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে। তবে সাবধানের মার নেই। ন্যূনতম কোনও উপসর্গ দেখা গেলেই নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। বছরের এই সময়টা কলেরার পাশাপাশি ডায়ারিয়া-সহ জলবাহিত বাকি রোগগুলি নিয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
কিন্তু শিরোনামে 'ফুচকা-ব্যান।'
ভারত-সহ নানা দেশেই অত্যন্ত জনপ্রিয় এই খাবার। বাঙালিদের মধ্যে ফুচকা নামে তার জনপ্রিয়তা ও চাহিদা বেশি। তবে জায়গাবিশেষে কোথাও 'সে' 'পানিপুরি', কোথাও আবার 'গোলগাপ্পা।' হরেক রকম স্বাদ তার। কোথাও তেঁতুল জলের বদলে দই দিয়েও খাওয়া হয় এটিকে। স্বাদে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফ্লেভারও মিশেছে গোলগাল, ফাঁপা বস্তুটিতে। জলছাড়া ফুচকাও অনেকেরই পছন্দ। তবে টকজল দিয়ে ফুচকার স্বাদে মাতোয়ারার সংখ্যাও কম নয়।
কিন্তু কলেরার দাপটে আপাতত জিভে জল আনা খাবারটির স্বাদ বেশ কিছু দিন ভুলে থাকতে হবে নেপালের বাসিন্দাদের একাংশকে।
আরও পড়ুন:বয়স ৪০ পেরোলেই মহিলাদের স্বাস্থ্যের যেদিকে নজর দেওয়া জরুরি