WHO on Covid 19: ওমিক্রনেই শেষ নয়, আরও ভয়ঙ্কর ভাবে ফিরতে পারে করোনা, জানাল হু
WHO on Covid 19: বিগত দু’বছরে করোনা যত বার চরিত্র বদল করেছে, তার মধ্যে ওমিক্রনই সবচেয়ে বেশই সংক্রামক বলে গোড়া থেকেই দাবি করে আসছেন বিজ্ঞানীরা।
জেনেভা: ওমিক্রনই শেষ নয়, চরিত্রবদল করে আরও ভয়ঙ্কর ভাবে ফিরতে পারে নোভেল করোনা ভাইরাস। তৃতীয় ঢেউয়ের (COVID 3rd Wave) হাত ধরেই অতিমারির বিদায় ঘটবে বলে যখন আশাবাদী সর্ব সাধারণ, সেই সময় এমনই বিপদের বার্তা শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation/WHO)। বরং অজানা বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেতে এখন থেকে প্রস্তুতি সেরে রাখার পরামর্শ দিল তারা।
অতিমারির (COVID Pandemic) প্রকোপে গত দু’বছরে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। সেই নিয়ে সোমবার জরুরি বৈঠক করে হু-র কার্যনির্বাহী বোর্ড। সেখান থেকে বেরিয়ে সংস্থার প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস সাংবাদিক বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘ওমিক্রনই (COVID Variant Omicron) করোনার শেষ রূপ এবং তার হাত ধরেই অতিমারি খেলা শেষ বলে ধরে নেওয়ার অত্যন্ত বিপজ্জনক ইঙ্গিত। বরং এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের যা পরিস্থিতি, তাতে চরিত্র বদল করে আরও ভয়াবহ আকারে আছড়ে পড়তে পারে করোনা।’’
আরও পড়ুন: Coronavirus Updates: ইউরোপে কি 'শেষের শুরু' হতে চলেছে করোনা অতিমারীর? ইঙ্গিত WHO-র
বিগত দু’বছরে করোনা যত বার চরিত্র বদল করেছে, তার মধ্যে ওমিক্রনই সবচেয়ে বেশই সংক্রামক বলে গোড়া থেকেই দাবি করে আসছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৩৫ কোটি মানুষ ওমিক্রনে সংক্রমিত হয়েছেন। তবে বেশি হারে মানুষ সংক্রমিত হলেও, ডেল্টার মতো প্রাণহানির ঘটনা চোখে পড়েনি ওমিক্রন আক্রান্তদের ক্ষেত্রে। টিকাকরণ এবং ভাইরাসের সঙ্গে সয়ে যাওয়ার জন্যই বিপদ অনেকাংশে এড়ানো গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু তাই বলে ওমিক্রনকে একেবারেই হালকা ভাবে নেওয়া উচিত হবে না বলে মত হু প্রধানের। তাঁর বক্তব্য, ‘‘অতিমারি তৃতীয় বছরে পা রাখছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রয়েছি আমরা। এই সময় আরও বেশি একজোট হয়ে কাজ করার প্রয়োজন। অতিমারিকে শেষ করতেই হবে। আতঙ্ক এবং গা ছাড়া মনোভাবের মধ্যে আর একে এগিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না।’’
এর আগে যদিও, রবিবারই হু-র ইউরোপ বিভাগের প্রধান হান্স ক্লুজ জানান, ইউরোপ অতিমারির শেষ পর্যায়ের দিকে এগোচ্ছে। মার্চের মধ্যে ইউরোপের ৬০ শতাংশ মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হতে পারে বলে সতর্কবার্তা শোনান তিনি। তবে তাঁর দাবি, মানুষ আক্রান্ত হলেও টিকাকরণ এবং শরীরে তৈরি অ্যান্টিবডির দৌলতে বিশ্ব জুড়ে করোনার বিরুদ্ধে প্রিতরোধ গড়ে উঠবে। তাতেই ভয়াবহতা থামবে।