Afghanistan Crisis News: কাবুল বিমানবন্দর থেকে অন্য দেশের নাগরিকদের উদ্ধার
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন ২০০ জন বিদেশিকে চার্টার ফ্লাইটে উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যাঁদের উদ্ধার করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে ৩০ জন মার্কিন নাগরিক আছেন।
কাবুল: মার্কিন সেনাবাহিনী আফগানিস্তান ছাড়ার পর কাবুল বিমানবন্দরের দখল নেয় তালিবান। তারা কাবুল বিমানবন্দর থেকে বিদেশি উড়ান বন্ধ করে দেয়। ফলে আফগানিস্তানে আটকে পড়া বিদেশিদের উদ্ধারের কাজ থমকে যায়। তবে বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দর থেকে ফের বিদেশিদের উদ্ধারকার্য শুরু হল। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন ২০০ জন বিদেশিকে চার্টার ফ্লাইটে উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যাঁদের উদ্ধার করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে ৩০ জন মার্কিন নাগরিক আছেন। কোনও ভারতীয়কে আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার করা হচ্ছে কি না, সেটা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, মোল্লা হাসান আখুন্দের নেতৃত্বে আফগানিস্তানে তালিবান সরকার গঠনের কথা ঘোষণার পরেই বিদেশিদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে। এতদিন কাউকে আফগানিস্তান ছাড়তে দিচ্ছিল না তালিবান। তবে আজ সেই অবস্থান বদল করল তারা। এক মার্কিন আধিকারিক জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদ তালিবানের সঙ্গে আলোচনা করে বিদেশিদের উদ্ধারের বিষয়ে সম্মতি আদায় করেছেন।
কাতারের রাজধানী দোহা থেকে এই উদ্ধারকার্যের তদারকি করা এক মার্কিন আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘কাবুল বিমানবন্দর থেকে যাঁদের উদ্ধার করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে মার্কিন নাগরিকরা থাকলেও, সবাই মার্কিন নাগরিক নন।’
৩১ অগাস্ট মার্কিন সেনার আফগানিস্তান ছাড়ার চূড়ান্ত সময়সীমা দিয়েছিল তালিবান। তবে তার আগেই কাবুল ছাড়ে মার্কিন সেনা। মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়ার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই কাবুল বিমানবন্দরে মোতায়েন করা হয় স্পেশাল তালিবান ফোর্স। পাঠানস্যুট ও রাইফেলধারী তালিবান জঙ্গিদের সঙ্গে এই বিশেষ বাহিনীর ফারাক আছে। ডোরাকাটা জংলা ইউনিফর্ম, পায়ে সামরিক বুট, চোখে গগলস, বুকে বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, হাতে অত্যাধুনিক রাইফেল। এই হচ্ছে তালিবানের স্পেশাল বদরি ৩১৩ ইউনিউটের যোদ্ধা। বদর যুদ্ধের স্মৃতি অনুসারে এই কম্যান্ডো ফোর্সের নামকরণ করেছে তালিবান।
এদিকে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে কাবুল ছাড়ার আগে অনেকগুলি বিমান এবং সামরিক সরঞ্জাম অকেজো করে দিয়ে গেছে মার্কিন সেনা। সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭৩টি বিমানকে অকেজো করে দেওয়া হয়েছে। ওই বিমানগুলি আর ওড়ানো যাবে না। রকেট বিধ্বংসী C-RAM সিস্টেমকেও অকেজো করে দেওয়া হয়েছে। নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু সাঁজোয়া গাড়ি।