Ukraine Crisis : মৃত্যুমিছিলের মাঝে জীবন বাজি রেখেই থাকবেন, তবে পোষ্যদের ছাড়বেন না এই ভারতীয় ডাক্তার
Indian Doctor Refuses To Leave Ukraine : তিনি আটকা পড়েছেন তাঁর দুই পোষ্যকে নিয়ে। একটি জাগুয়ার ও একটি প্যান্থার ।
Indian Doctor Refuses To Leave Ukraine : ইউক্রেন কব্জা করতে মরিয়া রাশিয়া। চলছে লাগাতার আক্রমণ। ৪ শহরে সাময়িক যুদ্ধবিরতির মধ্যেই মাইকোলেভে সকাল থেকে পরপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। ক্রমশ দীর্ঘ হতে থাকা যুদ্ধে আরও বেশি করে রক্তাক্ত হচ্ছে কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী দেশ। একদিকে মৃত্যুমিছিল, আরেকদিকে শরণার্থী-স্রোত আর এই ডামাডোল পরিস্থিতির মধ্যেই যুদ্ধদীর্ণ দেশ থেকে ফেরার মরিয়া চেষ্টা করছেন ভারতীয়রা। আবার কেউ কেউ সুযোগ থাকলেও দেশ ছাড়তে চাইছেন না। হয়ত কেউ মাটির টানে, কেউ আবার পোষ্যের টানে।
যেমন ডাঃ গিরিকুমার পাতিল । তিনি আটকে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইউক্রেনে । তিনি আটকা পড়েছেন তাঁর দুই পোষ্যকে নিয়ে। একটি জাগুয়ার ও একটি প্যান্থার নিয়ে। দুই পোষ্যকে নিয়ে তিনি আটকে রয়েছেন বাঙ্কারে ৷ ডাঃ গিরিকুমার পাতিল ডনবাস অঞ্চলের সেভেরোডোনেটস্কে ( Severodonetsk) তাঁর বাড়ির নিচে একটি বাঙ্কারে বাস করছেন।
বাঙ্কারের সামনে পায়চারি করছে রুশ সেনা । কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও ডাঃ পাতিল তাঁর পশুদের সেখানে ছেড়ে রাজি নন। “আমার জীবন বাঁচাতে আমি কখনই আমার পোষা প্রাণীদের ত্যাগ করব না। অবশ্যই, আমার পরিবার আমাকে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করছে। কিন্ত আমার পোষা প্রাণী আমার সন্তান। আমি তাঁদের সঙ্গেই থাকব এবং আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তাদের রক্ষা করব,” এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
Donbas | An Indian doctor Girikumar Patil famously known as Jaguar Kumar refuses to leave Ukraine without his pet jaguar & panther
— ANI (@ANI) March 7, 2022
"I called Embassy but didn't get a proper response. My place is surrounded by Russians but I'm trying my best. I treat them like my kids," he says pic.twitter.com/Ou5bT4bsN3
ডাঃ পাতিল ২০০৭ সালে চিকিৎসাশাস্ত্র পড়ার জন্য ইউক্রেনে যান এবং পরে ডনবাসে থাকতে শুরু করেন। তিনি পরে স্থানীয় সরকারী হাসপাতালে একজন অর্থোপেডিক হিসাবে যোগদান করেন।
অন্যদিকে, পোষ্য বিড়াল নিয়ে ইউক্রেন থেকে বীরভূমের সিউড়ির বাড়িতে ফিরলেন ডাক্তারি পড়ুয়া শাহরুখ সুলতান আহমেদ। ২০১৬-য় ইউক্রেনের কিভে মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে ডাক্তারি পড়তে গিয়েছিলেন। কোর্স শেষ হতে আর দু’মাস বাকি ছিল।তার মধ্যেই যুদ্ধ-পরিস্থিতিতে তাঁকে ফিরে আসতে হল বাড়িতে। রোমানিয়ার বুখারেস্ট থেকে পরশু দিল্লি আসেন।