এক্সপ্লোর
Advertisement
চিনে ব্লক এই সব ওয়েবসাইট ও অ্যাপ
ইন্টারনেটে সেন্সরশিপ চিনে খুবই সাধারণ ঘটনা। সেখানে কন্টেন্টের ওপর সরকারি নজরদারি এতটাই কঠোর যে, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট ও অ্যাপগুলির অ্যাকসেস প্রকৃতপক্ষে পাওয়া যায় না। আর সে দেশের সরকারের এই চেষ্টার ফলে চিনের ইন্টারনেট ইউজারদের কাছে তৈরি হয়েছে ‘গ্রেট ফায়ারওয়াল’।
নয়াদিল্লি: জাতীয় নিরাপত্তার কারণে ভারত ৫০ টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। ইন্টারনেটে সেন্সরশিপ চিনে খুবই সাধারণ ঘটনা। সেখানে কন্টেন্টের ওপর সরকারি নজরদারি এতটাই কঠোর যে, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট ও অ্যাপগুলির অ্যাকসেস প্রকৃতপক্ষে পাওয়া যায় না। আর সে দেশের সরকারের এই চেষ্টার ফলে চিনের ইন্টারনেট ইউজারদের কাছে তৈরি হয়েছে ‘গ্রেট ফায়ারওয়াল’। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চিন নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর করেছে, বিশেষ বিশেষ আইপি অ্যাড্রেসগুলির ওপর রাশ, নির্দিষ্ট ইউআরএল ও কিওয়ার্ডে লাগাম টানার কাজ জোরাল করেছে।
ঘরোয়া ইন্টারনেটে সেন্সর ও নজরদারি বজায় রাখতে আইনি ব্যবস্থা ও প্রযুক্তির প্রয়োগে গড়ে উঠেছে চিনে ওই ‘ফায়ার ওয়াল’।
আর এই ব্যবস্থাপনার ফলে কী কিওয়ার্ড সার্চ করা যাবে তার ওপর রয়েছে সরকারের নিয়ন্ত্রণ। এর ফলে রাশ টানা যায়, ‘উইনি দ্য ফু’-র মতো জনপ্রিয় মিমগুলিতেও, এই জনপ্রিয় কার্টুন বিয়ারের সঙ্গে ইউজাররা চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তুলনা টানাতেই এই নিষেধাজ্ঞা।
আর এ ধরনের নিয়ন্ত্রণের কারণেই বিভিন্ন জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ও অ্যাপের পরিবর্তে বাইডু,ওয়েইবো ও অন্যান্য চিনা বিকল্পগুলি সফল হয়ে উঠেছে।
দেখে নেওয়া যাক চিনে যে অ্যাপ ও ওয়েবসাইটগুলি ব্লকড
১. গুগল প্রোডাক্টস
চিন ইউটিউব থেকে শুরু করে বেসিক সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইট পর্যন্ত গুগল সার্ভিস নিষিদ্ধ করেছে। ২০১০ থেকেই এ গুলি চিনে ব্লক করা হয়েছে। চিনে গেলে গুগল ম্যাপও অ্যাকসেস করা যায় না। সেখানে স্থানীয় জিপিএস পরিষেবার ওপর নির্ভর করতে হয়। সেখানকার ইউজারজের মধ্যে কন্টেন্টের বিষয়বস্তুর প্রবাহে রাশ টানতেই এই নিয়ন্ত্রণ। তিয়েনআনমেন স্কোয়ার হত্যাকাণ্ডের ২০ তম বার্ষিকীর সময় যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল, তা এখনও চলছে। গুগলের মালিকানাধীন ইউটিউবও চিনে ব্লকড। এর প্রতিদ্বন্দ্বী আলিবাবার অধীনস্থ ইউকু ডট কম, ও টেনসেন্ট ভিডিও এর স্থান নিয়েছে।
২. ফেসবুক
২০০৯-এ জিনজিয়াং প্রদেশে স্বাধীনতা কর্মীরা দেশে বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য এই মঞ্চ ব্যবহার করার পর থেকে জনপ্রিয় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট ফেসবুক চিনে ব্লক করা হয়।
৩. ট্যুইটার
২০০৯ থেকে চিনে ব্লক রয়েছে মাইক্রো ব্লগিং সাইট ট্যুইটার। বিকল্প মঞ্চ হিসেবে গড়ে উঠেছে ওয়েইবো। আপত্তিকর হিসেবে চিহ্নিত বিষয়বস্তু রিট্যুইট করায় সরকারের রোষের মুখে পড়ে চিনের নাগরিকদের এক বছর লেবার ক্যাম্পে যেতে হয়েছে বলেও খবর।
৪. ইনস্টাগ্রাম
ফটো ও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম চিনে ব্লক। এই প্ল্যাটফর্মে হংকং-এর আমব্রেলা রেভোলিউশনের ছবি এই প্ল্যাটফর্মে উঠে আসতে থাকায় চিনের কর্তৃপক্ষ তা ব্লক করে দেয়। সরকারের আশঙ্কা হয় যে, হংকং সংক্রান্ত গনতন্ত্র-পন্থী পোস্ট এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশের মেনল্যান্ডের জনমানসে প্রভাব ফেলতে পারে।
৫. টিন্ডার
সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও ডেটিং অ্যাপ নিষিদ্ধ হয়েছে এবং পরিবর্তে জায়গা নিয়েছে এর ক্লোন টনটন। ২০১৪-তে চালু হওয়া এই অ্যাপের সঙ্গে মার্কিন টিন্ডারের সঙ্গে প্রচুর মিল রয়েছে। ২০১৮-র ফেব্রুয়ারিতে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক মোমো তা অধিগ্রহণ করেছে।
৬. মিডিয়া
চিনে নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়েশিংটন পোস্ট, হাফপোস্ট, দ্য গার্ডিয়ান, ডেলি মেলের মতো অনেক সংবাদমাধ্যমে ওয়েসাইটে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
ক্রিকেট
Advertisement