Russia-Ukraine War: যুদ্ধে বিঘ্নিত নিরাপত্তা, ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে সরল ভারতীয় দূতাবাস
Russia-Ukraine War: রবিবার কেন্দ্রের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে দূতাবাস স্থানান্তরণের কথা জানানো হয়।
নয়াদিল্লি: দু'সপ্তাহের বেশি কেটে গেলেও যুদ্ধে সমাপ্তির ইঙ্গিত নেই। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেন থেকে সরল ভারতীয় দূতাবাস (Indian Embassy)। আপাতত অস্থায়ী ভাবে পোল্যান্ডে (Poland) সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভারতীয় দূতাবাস। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। যুদ্ধকালে নিরাপত্তা র অবনতি হওয়াতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে দিল্লি।
রবিবার কেন্দ্রের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে দূতাবাস স্থানান্তরণের কথা জানানো হয়। বলা হয়, 'ইউক্রেনে নিরাপত্তার যে ভাবে অবনতি হচ্ছে, দেশের পশ্চিম অংশে যে ভাবে হামলা অব্যাহত, তাতেই অস্থায়ী ভাবে ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে ভারতীয় দূতাবাসকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।'
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War) পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তার পরই দূতাবাস অস্থায়ী ভাবে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে অপারেশন গঙ্গার মাধ্যমে ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের ফেরানো, সেখানে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিয়ে বিশদ আলোচনা সারেন মোদি।
আরও পড়ুন: Russia Ukraine War: লাগাতার বিমানহানায় ছারখার ইউক্রেন
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। তার পর তিন সপ্তাহ কাটতে চললেও, পরিস্থিতির সুরাহা হয়নি। বরং দু'পক্ষের মধ্যে তাপ উত্তাপ ক্রমশই বেড়েছে। দফায় দফায় আলোচনায় বসেও যার সমাধান সূত্র বার করা সম্ভব হয়নি।
যদিও রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনে বসবাসকারী সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই তাদের। বরং সে দেশের সামরিক পরিকাঠামো ধ্বংস করে দেওয়াই লক্ষ্য তাদের। এমনকি ইউক্রেন দখল করাও তাদের অভিসন্ধি নয় বলে জানিয়েছে মস্কো। কিন্তু ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়ার তরফে লাগাতার বোমাবর্ষণে এখনও পর্যন্ত ১৫০০-রও বেশি নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পানীয় জল, বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন শহরে। খাদ্যসঙ্কটও দেখা দিয়েছে।
অন্য দিকে, এই যুদ্ধের ফলে নিষেধাজ্ঞার ফাঁসে দমবন্ধ পরিস্থিতি রাশিয়ারও। আমেরিকা-সহ একাধিক দেশ তাদের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। রুশ বিমান নিষিদ্ধ করেছে একাধিক দেশ। এমনকি দু'সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধে ২ থেকে ৪ হাজার রুশ সেনার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনের।