Russia Ukraine War: রুশ সেনার সঙ্গে সংঘাতে যাবে না আমেরিকা, ফের জানালেন বাইডেন, রাশিয়ার জন্য নিষিদ্ধ মার্কিন আকাশ
Russia Ukraine War: বুধবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ সপ্তম দিনে পা রেখেছে। এ দিনই আবার বেলারুশ সীমান্তে দু’পক্ষের মধ্যে শান্তি-বৈঠক রয়েছে।
ওয়াশিংটন: ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানালেও, রাশিয়ার (Russia Ukraine War) সেনার সঙ্গে কোনও ভাবেই যে তাঁরা সংঘাতে যাবেন না, তা ফের স্পষ্ট করে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডো বাইডেন (Joe Biden)। তাঁর সআফ বক্তব্য, “ইউক্রেনে রুশ সেনার সঙ্গে কোনও রকম সংঘাতে যাব না আমরা।” যদিও ইউরোপীয় দেশগুলির দেখাদেখি রাশিয়ার জন্য আমেরিকার আকাশসীমা বন্ধের সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়েছেন তিনি (Russia Ukraine War News)।
বুধবার দ্বিতীয় দফায় বেলারুশ সীমান্তে বৈঠক রয়েছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের (Russia Ukraine Talks)। তার আগে ওয়াশিংটনে স্টেট অফ ইউনিয়ন ভাষণে রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলেন বাইডেন। তিনি বলেন, “শরিক দেশগুলির সঙ্গে একমত আমরা। রুশ বিমানের জন্য আমেরিকার আকাশসীমা বন্ধ করলাম আমরা।”
কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাতে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা যে নেই পেন্টাগনের, সে কথাও স্পষ্ট করে দেন বাইডেন। তিনি বলেন, “ইউক্রেনে রুশ সেনার সঙ্গে সংঘাতে জড়াবে না মার্কিন সেনা।” তবে তাঁর সরকার ইউক্রেনবাসীর পাশে রয়েছেন বলেও বার্তা দেন বাইডেন। রুশ আগ্রাসনের মুখে সে দেশের নাগরিকদের সাহসিকতার প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, “অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে লড়ছেন ইউক্রেনবাসী। যুদ্ধক্ষেত্রে পুতিন লাভবান হলেও, ভবিষ্যতের জন্য কড়া মূল্য চোকাতে হবে ওঁকে।”
বুধবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ সপ্তম দিনে পা রেখেছে। এ দিনই আবার বেলারুশ সীমান্তে দু’পক্ষের মধ্যে শান্তি-বৈঠক রয়েছে। এর আগে সোমবারও দুই দেশ আলোচনায় বসে। কিন্তু সেখানে কোনও সমাধানসূত্র বার হয়নি। তবে লোকবল, সামরিক হলে এগিয়ে থাকলেও, ইউক্রেনবাসী প্রতিরোধ গডে তোলায়, সেখানে এখনও পর্যন্ত আধিপত্য গড়ে তুলতে পারেনি রুশ সেনা।
বরং যুদ্ধের জেরে এ যাবৎ কড়া নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছে রাশিয়াকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি তাদের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। গ্যাসের পাইপলাইন প্রকল্প আপাতত স্থগিত রেখেছে জার্মানি। এ ছাড়াও, নাইকি, অ্যাপল, ফোর্ডের মতো সংস্থা রাশিয়ার সঙ্গে আপাতত ব্যবসা বন্দ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার বাজারে এখনও পর্যন্ত কয়েক হাজার কোটি ডলার ধসে গিয়েছে।